Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সকল হিংস্রতা ছাড়িয়ে বর্মীসেনা

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

‘পাহাড়ের হিংস্র প্রাণীর চেয়েও বেশি হিংস্র হলো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা আমাদেরকে পাখির মতো গুলি করে মারছে। যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে, মাথা শরীর থেকে আলাদা করছে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধ কেউ বাদ যাচ্ছেন না। যুবকদের পেলে তো কথাই নেই। আমার স্বামী বেঁচে আছেন কি মরে গেছেন তা জানি না।’‘আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের রক্ষা করুন। আমাদের সাহায্য করুন।’ জুনে হলমা পরর ওন, এড়ে থাইন্নফারিবি, জুনে আরারে নির্যাতন গরের ওন অইলদে কাফের, মগ, রুঠাইন ও ফুলিশ (যারা কালেমা পড়েছে তারা মিয়ানমারে থাকতে পারবে না, যারা আমাদের উপর নির্যাতন করছে তারা কাফের, মগ, রাখাইন ও পুলিশ )’গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পেয়ে আর্তনাদ করতে করতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্য গোষ্ঠীদের ভয়াবহ নির্যাতনের কথা এভাবেই বর্ণনা করল সীমান্তে পালিয়ে থাকা রেহানা ও আতাউল্লাহ। রোহিঙ্গাদের অভিযোগ তাদের উপর সেনা, পুলিশ ও মগদের যৌথ নির্যাতনের কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি বরং দিনের পর দিন বাড়ছে নির্যাতনের মাত্রা। সেদেশের সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে মগ সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী। সীমান্তে আতংক ছড়াতে প্রতিদিনই মিয়ানমারের আকাশে হেলিকপ্টার টহল। পাশাপাশি থেকে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মিয়ানমারে ব্যাপক গুলাগুলি ও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। পুরুষ যুবকদের গলা কেটে হত্যা করার পাশাপাশি যুবতী নারীর উপর চলছে বর্বর শারীরিক নির্যাতন। নারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গোপনীয় স্থানে। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী। এদিকে গত রোববার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘুমধুমের অদূরে মিয়ানমার সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রো্হঙ্গিার সংখ্যা। বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে এ সংখ্যা ১৮০০০ হলেও বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্ত মধ্যবর্তী এলাকা 'নো ম্যানস ল্যান্ডে' ঠিক কতজন রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ না করে বলেছে, নো ম্যানস ল্যান্ডে অনেক রোহিঙ্গা আটকা পড়ে আছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার আইওএম নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা জানালেও নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে, নাফ নদীতে ভেসে উঠছে লাশ আর লাশ। আমাদের সংবাদদাতা পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারজুড়ে আগুন জ্বলছে। সীমান্তের এপারে বাংলাদেশের স্থানীয় বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়েছে। এরমধ্যেই সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’র মতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার অন্তত ১০টি স্থানে এখনো আগুন জ্বলছে। দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের নির্মূলে তাদের বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটি। এখনো ১০০ কিলোমিটারজুড়ে আগুন জ্বলছে এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেড় হাজারের বেশি বাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় বলেও তাদের পর্যবেক্ষণে জানানো হয়।
স্থানীয় রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, মঙ্গলবারও বার্মিজ আর্মি রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। আরাকান রাজ্যের মংডুর গরিতিবিল, রাজারবাড়ি, সাববাজার’সহ পাঁচটি গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
এছাড়া ট্যংবাজার বুথিডং গ্রামের প্রায় দুই-চতুর্থাংশ বাড়িঘর আগুনে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় মগরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মংডুর চারকুম্বা, গদুছাড়া গ্রামেও আগুন দেয় বলে জানাগেছে। নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের এ সময় প্রাণের ভয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। তারা সীমান্ত পার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে।
তবে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মনজুরুল হাসান খান জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। পরিবেশ শান্ত হলে তারা স্বদেশে ফিরে যাবে।
এদিকে অনপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যূষিত গ্রামগুলোতে সে দেশের সেনাবাহিনীর নজিরবিহীন তান্ডব চলছেই। প্রতিদিন একের পর এক গ্রাম জালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। যাকে যেভাবে পাচ্ছে হত্যা করা হচ্ছে নির্মমভাবে।
বুধবার সকাল থেকে মিয়ানমারের বালুখালী, দারোগাপাড়া, জাম্যান্না, ফুটখালীর আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। ওইসব এলাকায় সাধারণ লোকজনকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে বলে জানান অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমারের রাছিদং এর শোয়েবপাড়া থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের এলাকায় ১৪০০শ মানুষের মধ্য থেকে এক হাজার মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির সেনারা জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদের বসতভিটা। চোখের সামনে স্বজনদের হত্যা করেছে। জীবন বাজি রেখে তারা এপারে পালিয়ে এসেছে। তারা জানায়, মংডু, বুছিদং, রাছিদং, শোয়েবপাড়ার অবস্থা নাজুক। বুধবার ভোররাত থেকে সেখানে নতুন করে বসতবাড়ীতে আগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। মেয়েদের উপর চলছে নানা ধরণের নির্যাতন।
এদিকে টেকনাফের নাফনদীর শাহপরীরদ্বীপ উপকূলে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন।
গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় সে দেশের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ অনেক রোহিঙ্গা হতাহত হন। এঘটনার পর প্রতিদিনই বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। নাফ নদীর জলসীমানা থেকে শুরু করে স্থল সীমানা পার হয়ে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
এদিকে মিয়ানমার বাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে প্রাণ ভয়ে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উখিয়া সীমান্তের আমতলী তুলাতলী পয়েন্টে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মূল্যবান স্বর্ণলঙ্কারসহ অন্যান্য সামগ্রী লুটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাদের গবাদি পশুও এক শ্রেণীর লোক লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়াগেছে।
জানা গেছে, অনুপ্রবেশ পয়েন্টে এক শ্রেণীর দালাল অসহায় রোহিঙ্গাদের স্বর্ণ, মুল্যবান জিনিসপত্র ও গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সুন্দরী যুবতীদের অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এদের অনেকে আবার দালাল প্রকৃতির লোক বলে জানা গেছে। এরা টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা এদেশে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একইভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। তখন প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা। এরপর আন্তর্জাতিক মহল নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে মিয়ানমার সরকারের ওপর। কিন্তু এর কোনও তোয়াক্কা না করে রাখাইনে ফের সেনা মোতায়েন করলে বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সে দেশের সেনা বাহিনী ও পুলিশ।
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ থেকে জানান, কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নদী থেকে চার রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল বুধবার সকালে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন নারী ও দুইজন শিশু। গত রাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় ঘটে। লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
একই পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ভোররাত সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিজিবি ৭৫ রোহিঙ্গা ও সেন্টমার্টিনদ্বীপে কোস্টগার্ড ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। বিজিবি ও কোস্ট গার্ড জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সাগর ও নাফনদ পার হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ১৫৫জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। আটক ১৫৫ জন রোহিঙ্গাকে খাবার, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য মানবিক সহযোগিতা দিয়ে নিজ নিজ সীমান্ত দিয়ে যেকোন সময় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বলেন, রাতে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। নৌকাটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া ও মাঝেরপাড়া সৈকত থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের উদ্ধার করা চারজনের লাশসহ ৭৫ জন রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যেকোনো সময় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। সেন্টমার্টিনদ্বীপের কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার জানায়, আটককৃত ৮০ জনকে মিয়ারমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনাঘাঁটিতে সমন্বিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং বাকি ৫৯ জন ‘রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহী’ বলে দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে।
এদিকে, টেকনাফে গভীর রাতে রোহিঙ্গা আনতে গিয়েই ৫জন নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার রাতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা নজির আহমদের ছেলে রশিদ আহমদ, লাল মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম, দক্ষিন লেদার কুব্বাসপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে ফজল করিম, মৃত মোঃ হোছনের ছেলে আনোয়ার হোছন বাবুল, গফুরের ছেলে ঈমান হোছন ও মৃত আবু জাফরে ছেলে আবছার উদ্দিন ওপারে রশিদের ছেলে-মেয়েসহ অপর রোহিঙ্গাদের আনতে পৃথকভাবে নৌকা নিয়ে রইগ্যাদং ও পুছিংগ্যাপাড়া পয়েন্টে যায়। ওপারে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিপি সদস্যরা নৌকা সমুহে রোহিঙ্গা তোলার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ চালায়। তখন তারা পৃথক স্থান থেকে প্রাণরক্ষার্থে পালিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে লেদার মৃত আবু জাফরের ছেলে আবছার উদ্দিন ১টি জারিকেনের (গ্যালন) সহায়তায় নাফনদী পার হয়ে বাড়িতে আসে। অপর ৫জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এই ব্যাপারে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আলী নিখোঁজের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্মীসেনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ