পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বানের পানির মত ভারত থেকে গরু ছাগল আসলেও চামড়া ফিরিয়ে নেবার জন্য আট ঘাট বাঁধা হচ্ছে। ভারতের গরু ও চামড়া বেনিয়ারা এসব পাচারকারীদের সাথে যোগাযোগ ভাল রাখছে। আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। প্রতিবছর কুরবানি ঈদের সময় এরা তৎপর হয়। সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত করা হয় ক্ষমতাসীন দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। এরা নিজ নিজ মহল্লায় চামড়া নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারি দাম যাই নির্ধারণ করা হোক তা মানা হয় না। ঈদের নামাজ শেষ হবার সাথে সাথে এরা মহল্লার কুরবানিদাতাদের কাছে হাজির হয়। বলে আমরা বুকিং দিলাম।
চামড়া ছাড়ানো হলে নিয়ে যাবো। যার কাছে যেমন পারে দাম দিয়ে নিয়ে যায়। কম দাম নিয়ে প্রতিবাদ করলে বলা হয় আমরা মহল্লার ছেলে। আমরা না হয় নিলাম। ঝামেলা এড়াতে কেউ প্রতিবাদ করে না। চামড়া সিন্ডিকেটের লোকজন মহল্লায় প্রহরা বসায়। যাতে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের লোকজন না আসতে পারে। কেউ আসলে নাজেহাল হতে হয়। এমনকি এতিমখানার লোকজনকে আসতে বাঁধা দেয়া হয়। সারাদিন চামড়া সংগ্রহের পর তুলে দেয়া হয় পাচারকারী সিন্ডিকেটের হাতে। অনেক চামড়া ব্যবসায়ী ব্যবসার স্বার্থে এদের কাছ থেকেও চামড়া কেনেন বাধ্য হয়ে চড়া দাম দিয়ে। এবারো এর ব্যতিক্রম হবে না সহজেই বলে দেয়া যায়।
ইতোমধ্যে মহল্লায় মহল্লায় দল গঠন করে তাদের কাছে আগের দিন টাকা দেবার ব্যাপারে কথা পাকাপাকি হয়ে আছে। এক দিকে পাচারকারী সিন্ডিকেটের দাপট। অন্যদিকে পুজি সংকটের কারনে ভাল নেই প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারী স্থানান্তরের নামে দু’বছর ধরে চামড়া ব্যবসায়ীদের টাকা আটকে রেখেছে ঢাকার ব্যবসায়ীরা। রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ী গ্রæপের ১৩৫ জন ব্যবসায়ী পড়েছেন পুজি সংকটে। তাছাড়া চামড়া সংরক্ষনের জন্য লবন দরকার। সেই লবনের দামও বাড়ছে। প্রতি বস্তা লবন কিনতে হচ্ছে তেরশ হতে দেড় হাজার টাকার মধ্যে। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। পরিবহন খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে চামড়া সংরক্ষণ ব্যায় কম নয়। একটি চামড়ার সংরক্ষন করতেই খরচ হয় চারশো টাকা। এরপর গোদের উপর বিষ ফোড়ার মত কুরবানি ঈদের সময় শুরু হয় পাচারকারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা। প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা পুজি সংকটে থাকলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের পুঁজির সমস্যা নেইা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন অল্পপুঁজি নিয়ে চামড়া ব্যবসা করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীদের শংকা এবার গতবারের চেয়ে কুরবানি হবে কম। কারন বন্যায় মানুষ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে এসেছে কুরবানি ঈদ। বিগত বছরগুলোয় রাজশাহীতে প্রায় আশি নব্বই হাজার গরু মহিষ ও দেড় হতে পৌনে দু’লাখ খাসী ছাগল ভেড়া কুরবানি হয়ে থাকে। এবার এর সংখ্যা বেশ কমে আসবে। তাছাড়া পশুসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবার কারনে মধ্যবিত্তরা কুরবানি দাতাদের সামর্থ্য কমে যাবার কারনে অনেকে শেয়ারে কুরবানি করছেন। যার প্রভাব পড়ছে চামড়ায়। কুরবানি পশুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সাথে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে। এমনটি জানান চামড়া ব্যবসায়ী গ্রæপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ। তাছাড়া ট্যানারী মালিকদের কাছে আটকে থাকা টাকা পরিশোধের জন্য বার বার তাগিদ দিয়ে তেমন সাড়া না মেলায় পুজি সংকট আরো বেড়েছে। অনেকে চামড়া ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়ে কেউ কেউ হয়েছেন চামড়ার গুদামের কর্মচারি। প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের এমন বেহাল দশায় সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারি সিন্ডিকেট। যদিও বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন বলছেন তারা চামড়া পাচার রোধে কড়া নজরদারী রাখছেন। বরাবর এমনটি বলা হলেও বাস্তবে বজ্রআটুনি ফসকা গোরোর মত হয়। চামড়া ব্যাবসায়ীদের কেউ কেউ বলেন সর্বাগ্রে মহল্লার চামড়া দস্যুদের রুখতে হবে। পাচার রোধে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।