গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অনলাইনে কোরবানির গরু কিনে নিজেই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন যে গরু কিনেছিলাম পরে তা পাইনি, অন্য গরু দিয়েছে। অগ্রিম টাকা দিয়ে অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছে বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। গতকাল রোববার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের ভ‚মিকা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইভ্যালির প্রতারণা অনেক সময় বোঝাই যায়নি। উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে পণ্য দেওয়ার অফার বাস্তবসম্মত নয়, এটি বুঝতে হবে। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রলোভন থেকে সরে আসতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। যদি এ সুযোগটি পাওয়া যেত তাহলে হয়তো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হতো। তবে বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনের ৪২০ ধারায় (প্রতারণা) মামলা সহজেই জামিনযোগ্য বলে ই-কমার্সভিত্তিক আইনটি সংশোধনেরও দাবি উঠেছে। তবে সরকার ই-কমার্স বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। আমরা ইভ্যালির বিষয়ে দায় এড়াচ্ছি না। আমরা এটিকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই। আমরা ভাবছি কী করা যায়। কারণ, ই-কমার্স নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বহু মত রয়েছে।
অনলাইনে কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই বছর আগে অনলাইনে কোরবানির গরু বেচাকেনার কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে আমি নিজেও প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। ই-কমার্স থেকে এক লাখ টাকার কোরবানির গরু কিনেছিলাম। টাকাও দিয়েছিলাম। কিন্তু ৫-৬ দিন পর জানানো হলো আমাকে যে গরুটি দেখানো হয়েছিল, তা বিক্রি হয়ে গেছে। পরে আমাকে কম দামে অন্য একটি গরু দিয়েছিল এবং সঙ্গে একটি ছাগলও পেয়েছিলাম। গরু পাওয়ার আগে টাকা পরিশোধ করে আমি তাদের ফাঁদে বন্দি হয়ে গিয়েছিলাম। তাই পরে ওরা যে গরু দিয়েছে, তা-ই নিয়েছি।
কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ইআরএফ’র সদস্য দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।