পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা
১০ই যিলহজ্জ তারিখে মুযদালিফা হতে ফজর নামাজের পর মিনায় আগমন করে জামরায়ে আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করা, কুরবানী করা এবং মাথা মুন্ডানোর পর এই দিনেই চতুর্থ একটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়- তা’হলো কাবা ঘরের তাওয়াফে যিয়ারত করা। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) কুরবানীর দিনই কাবা ঘরের তাওয়াফ করেছেন। তারপর তিনি মক্কা হতে মিনায় আগমন করলেন এবং এখানেই জোহরের নামাজ আদায় করলেন। (সহীহ বুখারী সহীহ মুসলিম, মোসনাদে আহমাদ, বায়হাকী)। রাসূলুল্লাহ (সা:) এই যে কাবা ঘরের তাওয়াফ করলেন একে তাওয়াফে ইফাযা কিংবা তাওয়াকে যিয়ারত বলা হয়। এই তাওয়াফ হজ্জের অন্যতম রোকন বা ফরজ। ইহা না করলে হজ্জ পূর্ণ হতে পারে না। এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। এই তাওয়াফের জন্য দুইটি সময় আছে। একটি কুরবানীর দিন পাথর নিক্ষেপ করা, কুরবানী করা, মাথা মুন্ডন করার পর দ্বিপ্রহর পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা। যদি সন্ধ্যা পর্যন্ত বিলম্ব হয়, তথাপি কোন দোষ হবে না। আর দ্বিতীয়টি হলো যায়েজ সময়। ইমাম আবু হানিফাহ (রহ:)-এর মতে কুরবানীর পরের দিন প্রথম সূর্যোদয় কাল পর্যন্ত তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা যায়।
উপরোক্ত হাদীসে বলা হয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা:) মক্কা হতে মিনায় ফিরে এসে এখানেই যোহরের নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু হযরত যাবির (রা:) হতে বর্ণিত ও সহীহ মুসলিম শরীফ উদ্ধৃত হাদীসে বলা হয়েছে : রাসূলুল্লাহ (সা:) উটের উপর আরোহন করেন। কাবা ঘরের তাওয়াফে ইফাযা বা তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করলেন। এবং মক্কা শরীফেই যোহরের নামাজ আদায় করলেন। এই দুইটি বর্ণনায় সুস্পষ্ট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এই পার্থক্য দূরীকরণে ও উভয় বর্ণনার মাঝে সমতা বিধান কল্পে ইমাম নবভী (রহ:) বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) দ্বিপ্রহরের পূর্বেই তাওয়াফে যিয়ারত শেষ করেন। পরে মক্কাতেই আউয়্যাল ওয়াক্তে যোহর নামাজ আদায় করেন। তারপর মিনায় প্রত্যাবর্তন করে দেখতে পান যে সাহাবায়ে কেরাম মিনায় যোহর নামাজ আদায় করছেন। এখানেও তিনি জামাতে শরীক হয়ে নফল হিসেবে জোহর নামাজ আদায় করলেন। কেননা, তিনি নিজেই বিধান দিয়েছেন যে, একবার নামাজ আদায় করার পর যদি দেখতে পায় যে, সেই নামাজের জামাত দাঁড়িয়ে গেছে, তাহলে সে নফল স্বরূপ জামাতে শামীল হয়ে পুনর্বার নামাজ আদায় করতে পারে। এ প্রসঙ্গে ইমাম শাওকানী (রহ:) ও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। (তোহফাতুল আহওয়াজী, বুলুগুল আমানী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।