পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামরায়ে আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করা
১০ই যিল হজ্জ কুরবানীর দিন। এই দিন ফজরের পর মুযদালেফা হতে মিনায় উপস্থিত হয়ে চারিটি কাজ পর্যায়ক্রমে আদায় করতে হয়। যথা : (ক) জামরায়ে আকাবায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করা, (খ) কুরবানী করা, (গ) মাথা মুন্ডন করা এবং (ঘ) কাবা ঘরকে তাওয়াফে যিয়ারত করা। জামরায়ে আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। হযরত যাবের বিন আবদুল্লাহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে দেখেছি তিনি কুরবানীর দিনে তাঁর জন্তযানে আরোহী থাকা অবস্থায়ই পাথর নিক্ষেপ করেছেন এবং বলেছেন : তোমরা আমার নিকট হতে তোমাদের হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি শিখেনাও, কেননা, আমি জানিনা, হয়ত আমার এই হজ্জের পর আর কোন হজ্জ আমি করব না। (সহীহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, সুনানে নাসাঈ)।
হযরত যাবের (রা:) হতে বর্ণিত অপর এক হাদীসে বলা হয়েছে যে, কুরবানীর দিন সকাল বেলা জামরায়ে আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করবে। (আর যদি সকাল বেলা নিক্ষেপ করা সম্ভব না হয়, তাহলে) এর পর সূর্য যখন পশ্চিম দিকে ঢলে পড়বে, তখন নিক্ষেপ করবে। তবে, সকাল বেলা পাথর নিক্ষেপ করাই যে উত্তম, তাতে কোন মতভেদ নেই। এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানিফা (রহ:) ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহ:) প্রমুখ আয়েম্মায়ে মুযতাহেদীন বলেছেন : জামরায়ে আকাবার পাথর নিক্ষেপ কুরবানীর দিন সূর্যোদয়ের পর ছাড়া করা যেতে পারে না।
পাথর নিক্ষেপ কিভাবে করতে হবে? এ পর্যায়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) সম্পর্কে একটি হাদীস বলা হযেছে : তিনি উপত্যকার উপর এর মাঝখানে দাঁড়িয়ে কাবা মুখী হয়ে ডানদিকে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগলেন। তিনি সাতটি পাথর টুকরা নিক্ষেপ করলেন। প্রতিটি পাথর টুকরা নিক্ষেপকালে তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে ছিলেন। পাথর নিক্ষেপকালে ‘আল্লাহু আকবার’ বলার পর এই দোয়া করাও সুন্নাত। হে আল্লাহ! আমার এই হজ্জকে ‘হজ্জে মাবরুর’ হিসেবে, গোনাহমাফের উপায় হিসেবে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মকবুল আমল হিসেবে মঞ্জুর করুণ! কোন কোন কিতাবে পাথর নিক্ষেপকালে এই দোয়া পাঠ করার কথাও উল্লেখ আছে- রাগমান্্ লিশ্্ শায়তানে ওয়া রিদাআন্্ লিররাহমানি, আল্লাহু আকবার। আমি পাথর নিক্ষেপ করছি শয়তানকে অপদস্ত ও ধূলা ধুসরীত করার লক্ষ্যে এবং আল্লাহ পাকের রেজামন্দি লাভের প্রত্যাশায়- আল্লাহ পাকই সর্বশ্রেষ্ঠ। এ পর্যায়ে সতর্কতার সাথে প্রত্যেকটি পাথর টুকরা ভিন্ন ভিন্নভাবে নিক্ষেপ করতে হবে। অবশ্য ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এবং ইমাম আতা (রহ:) বলেছেন : (যদি কেউ মনের আবেগে) সাতটি পাথর টুকরা পৃথক পৃথক নিক্ষেপ না করে একবারেই নিক্ষেপ করে ফেলে, তাহলে ইহা নাযায়েজ হবে না। বরং এতেই তার পাথর নিক্ষেপের কাজ যথেষ্ট হয়ে যাবে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, জামে তিরমিজী, নায়লুল আওতার, তুহফাতুল আহওয়াজী, ফিকহুস্্ সুন্নাহ)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।