Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ কৃষক

ভাঙ্গায় পাট চাষে বাম্পার ফলন

| প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পাট চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে পাটের কচিপাতা দুলে বাতাসে ঢেউ খেলছে আর কৃষকের স্বপ্ন দুলছে। জমি থেকে পাট কাটা, পানিতে জাক দেওয়া, আঁশ ছড়ানো, রোদে শুকানোর পর প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাটের বাম্পার ফলনের পর কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। তবে বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এলাকার কৃষকরা মূলত পাট চাষের উপর নির্ভরশীল। সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ভান্ডার খ্যাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ পাটের আবাদ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১০হাজার ১০হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০হাজার ২০ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অর্জিত হয়েছে। উন্নতমানের বীজ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ এবং সেচ সুবিধা নিশ্চিৎ হওয়ায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাট কেটে মাথায় করে এবং পরিবহনে করে নিয়ে দুরের জলাশয়ে জাগ দিতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে হাট বাজারে নিয়ে বিক্রির করতে গিয়ে পাটের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কৃষকরা জানান প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ মন পাট উৎপাদন হয়েছে। পাটের প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫শ’ টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে কৃষকদের খরচের টাকাও উঠছে না। তারা পাটের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। এ ব্যপারে পাট ক্রেতারা জানান, পাট মিল মালিকরা পাট ক্রয় না করায় আমরা বাধ্য হয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট ক্রয় করছি। এমতাবস্থায় কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে তারা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ৮ থেকে ১০ মন। বাজাওে প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪শ’ টাকা। সার, বীজ, নিরানী ও পাট কাটার জন্য কামলা খরচ বাবদ সব মিলিয়ে খরচের টাকাও উঠছে না। কয়েকজন কৃষক এ প্রতিনিধির কাছে বলেন সরকারী ব্যাংক গুলো কৃষকদেরকে কোন কৃষি লোন দেন না।বাধ্য হয়ে তারা এজিওর কাছ থেকে ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাট চাষ করে সেই টাকা শোধ না করতে পেরে পরেছেন বিপাকে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার, মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ভাঙ্গা উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের এ বছরের টার্গেট ছিল ১০ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ, অর্জিত হয়েছে ১০ হাজার ২০ হেক্টর। মোটামুটি অর্জিত আমাদের হয়েছে। পাটের এবার ব্যবসাও ভালো এবং এ কাজটা সম্ভব হয়েছে আমাদের এবং আমাদের মাঠ কর্মী যারা উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ প্রদান করে তারা সুষম সার ব্যবহার করতে পারছে জমিতে এ কারনেই পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ