Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের ওহাইও সমাবেশেও গোলযোগ

ভোটের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও সহিংস হয়ে উঠছে নির্বাচনী প্রচারণা

প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে এবার নতুন মাত্রা হিসাবে যুক্ত হচ্ছে সহিংসতা। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশটি রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং ধর্মীয় উস্কানিদাতা হিসাবে সর্বত্র নিন্দিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে আবারো গোলযোগ হয়েছে। শিকাগোতে প্রতিবাদকারীদের সাথে ট্রাম্পের সমর্থকদের সংঘর্ষের কারণে সমাবেশ ভ-ুল হওয়ার একদিন পর ওহাইওতেও একই ঘটনা ঘটলো। সেখানে ট্রাম্পের সমাবেশে হামলা চালায় প্রতিবাদকারীরা এবং আঘাত থেকে বাঁচতে ট্রাম্পকে লুকিয়ে থাকতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের সহিংস ঘটনা সে দেশের রাজনীতিতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত শনিবার ওহাইওর ডেটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই সংঘর্ষের ঘটনার সময় ট্রাম্পকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা বক্তৃতা মঞ্চে উঠে ট্রাম্পকে ঘিরে রাখেন। এক প্রতিবাদকারী আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলে ট্রাম্প কিছুক্ষণের জন্য ডায়াসের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। এ সময় সিক্রেট সার্ভিসের চার এজেন্ট তড়িঘড়ি করে ট্রাম্পকে ঘিরে দাঁড়িয়ে যান। মঞ্চে পৌঁছানোর আগেই সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা কালো টি-শার্ট ও জিন্স পরা ওই প্রতিবাদকারীকে ঝাঁপটে ধরে সমাবেশস্থল থেকে সরিয়ে নেন। দিনের পরবর্তী সময়ে এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, আমি ভালো করতে পারতাম কিনা জানি না, তবে সেখানে মারামারির জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। মঞ্চের দিকে তেড়ে যাওয়া প্রতিবাদকারী তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার শিকাগোতে ট্রাম্পের অপর একটি সমাবেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ার পর ওহাইওর এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণাকে ঘিরে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে। ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিউইয়র্কের এই ধনকুবেরের ব্যাপারে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্যবাণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতার পরিবেশ শঙ্কায় ছেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
শিকাগোর ঘটনার জন্য ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী স্যান্ডার্সের সমর্থকদের দায়ী করেছেন ট্রাম্প। ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্সকে ‘আমাদের কমিউনিস্ট বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। শিকাগোর ঘটনার আগে ট্রাম্পের সমাবেশকে ঘিরে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনো কোনোটিতে প্রতিবাদকারী ও সাংবাদিকদের ঘুষি মারা হয়েছে, টেনেহিঁচড়ে হেনেস্থা করে সমাবেশস্থলের বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় আগামী ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মুসলিমবিরোধী বক্তব্যে অনড় থাকায় সর্বশেষ টেলিভিশন বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তার তীব্র সমালোচনা করেছেন। ফ্লোরিডার সেনেটর মার্কো রোবিও বলেছেন, অনেক মুসলমানই অ্যামেরিকান হিসেবে গর্ব করেন। টেক্সাসের সেনেটর টেড ক্রজের বক্তব্য ছিলো- মুসলিমদেরকে খারাপ বলে চিৎকার করে ইসলামি চরমপন্থা মোকাবেলা করা যাবে না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, মুসলমানদের ব্যাপারে তিনি যা বলেছিলেন তা থেকে তিনি সরছেন না। কিন্তু ইসলাম নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হলো, তখন স্পষ্টতই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবস্থানে এবং কথায় বড় ফারাক দেখা গেল। ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে মারাত্মক বিতর্কিত সব মন্তব্য করে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন। রয়টার্স, আল-জাজিরা, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের ওহাইও সমাবেশেও গোলযোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ