পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
“আরাফার ময়দান হতে মুযদালিফা গমন”
৯ই জিলহজ্জ আরাফাতের ময়দানের আমল ও অনুষ্ঠান সমূহ সমাপ্ত হওয়ার পর এই ময়দান হতে মুযদালিফার দিকে রওয়ানা হতে হয়। সূর্যাস্ত সম্পূর্ণ রূপে হওয়ার পরই রওয়ানা হয়ে যেতে হবে। যাবার সময় পথে পথে আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করতে হয়। রাসূলুল্লাহ (সা:) তা-ই করেছেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান হতে মুযদালিফার দিকে রওয়ানা হলেন। এ সময় হযরত উসামা বিন্্ যায়েদ (রা:) তাঁর সহ-আরোহী ছিলেন। অত:পর তিনি খুব ধীর-মন্থর ও মর্যাদা সম্পন্ন গতিতে চলতে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত মুযদালিফায় এসে পৌঁছলেন। এ সময় তিনি দোয়াও মোনাজাতে নিমগ্ন ছিলেন। তাঁর দু’খানি হাত উর্ধ্বে এমনভাবে উত্তোলিত ছিল যে, হাত দু’খানি তাঁর মস্তক সোবারক অতিক্রম করে যায়নি। (মোসনাদে আহমাদ ও সহীহ মুসলিম)
বস্তুত : এ সময়ে দোয়া ও যিকির করার নির্দেশ আল কুরআনেও দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : “তোমরা যখন আরাফাতের ময়দান হতে রওয়ানা হয়ে যাবে, তখন মুয়দালিফার নিকটে আল্লাহর পাকের যিকির করবে।” (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৯৮)।
এই আয়াতের ভিত্তিতেই ইমাম শাফেরী (রহ:) ও ইমাম লাইস (রহ!) মুযদালিফায় অবস্থান করা, যিকির করাও তালবিয়া পাঠ করাকে ফরজ বলেছেন। ইমাম আবু হানিফাহ (রহ:) ও অন্যান্য ইমামগণের মতে মুযদালিফায় অবস্থান করা, তালবিয়া পাঠ করা ও যিকির করা ফরজ নয়, বরং সুন্নাত। মূল হাদীসে একথাও বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) এ সময়ের দু’হাত ঊর্ধ্বে উত্তোলন করে দোয়া করে ছিলেন। এবং তার দু’হাত ঊর্ধ্বে এমন ভাবে উত্তোলিত ছিল যে, তা’ তাঁর মস্তক মোবারক অতিক্রম করে যায়নি। তবে দোয়া ও মোনাজাতে হাত উত্তোলন করতে গিয়ে আদব রক্ষা করা একান্ত দরকার। যেন হাত মাথার উপর অথবা মাথা পর্যন্ত উত্তোলিত হয়ে না যায়।
মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিব এবং এশার নামাজ এক সঙ্গে আদায় করতে হয়। এক সাথে আদায় করার কথাটি বুঝাতে গিয়ে হাদীস শরীফে ‘জাময়ান্্’ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। হযরত আলী (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন : রাসূলুল্লাহ (সা:) মুযদালিফায় উপস্থিত হলেন। এখানে তিনি লোকদের নিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়লেন এবং এখানেই রাত্রি যাপন করলেন।”। (মোসনাদে আহমাদ)। মুযদালিফার একটি নাম ‘মাশয়ারুল হারাম’ এখানে একটি মসজিদ আছে। সমগ্র মুযদালিফাই অবস্থান স্থল। এর যে কোন অংশে অবস্থান করলেই হয়। ইসলামী শরীয়তের এ ব্যাপারে কোন কাড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।