পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বগুড়ায় কোরবানির হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে কয়েকটি হাট পরিদর্শনের পর গরুর খামারী ও গরু বেপারিদের মধ্যে ভারতীয় গরু নিয়ে, ক্রেতাদের উচ্চ টোলহার নিয়ে, এবং গ্রামের সহজ সরল গবাদী পশু পালক ও বিক্রেতাদের মধ্যে জালটাকার বিস্তার নিয়ে শঙ্কা ও আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে।
খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, বগুড়ায় ছোট বড় মিলিয়ে ৮০ টির মতো পশুর হাট রয়েছে। প্রতি বছরই কোরবানির সময় এই হাট গুলোতে কমন সমস্যা হিসেবে পশু কেনা বেচার সময় উচ্চ হারে টোল আদায় করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্চ টোল হার আদায়ের বিরুদ্ধে কাগুজে হুঁংকার দেয়া হলেও বাস্তবে কখনই উচ্চহারের টোল আদায় বন্ধে কখনই পদক্ষেপ নেওয়ার নজির পাওয়া যায়না। ফলে বগুড়া পৌর এলাকার মধ্যে কালিতলা হাট, সুলতানগঞ্জ হাট ও সাবগ্রাম হাটে সবচে বেশি হারে টোল তোলা হয়। এই কয়েকটি হাটের ইজারা নেয় পলিটিক্যালী স্ট্রং পার্সনরা যাদের প্রত্যেকেরই আছে শক্তিশালী ক্যাডার বাহিনী যারা কাউকেও বিন্দু মাত্র কেয়ার করেনা। কোরবানির সময়টাকেই টার্গেট করে ইজারাদাররা উল্লেখিত হাট গুলো স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুন তিনগুন মুল্যে ডেকে নেয়। উদাহরণ দিয়ে কালিতলা হাট এলাকায় বসবাসকারি আব্দুর রহিম বললেন, ছোট্ট কালিতলা হাটটি এবার ইজারাদার ১১ লাখ টাকায় ডেকে নিয়েছেন। যা স্বাভাবিক ভাবে ৩ / ৪ লাখ টাকার বেশি ওঠার কথা না। কিন্তু শুধুমাত্র কোরবানির সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে গলাকাটা হারে টোল আদায়ের আশাতেই ইজারাদার এটা উচ্চ দরে ডেকে নিয়েছেন। একই অবস্থা সুলতানগঞ্জ ও সাব গ্রাম হাটের ক্ষেত্রে প্রজোয্য বলে জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগিরা।
গ্রাম থেকে গরু, ছাগল, ভেড়া বা মহিষ নিয়ে আসা অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেছেন , শুধু মাত্র ক্রেতাদের কাছ থেকে টোল আদায়ের নিয়ম থাকলেও এই হাটগুলোতে সুযোগ বুঝে বিক্রেতাদের কাছ থেকেও টোল নেওয়া হয়। কিন্তু এসব ব্যাপারে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়না।
এদিকে গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় স্থানীয় খামারিরা ও অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবেও কোরবানিকে টার্গেট করে গরু , ছাগল , ভেড়া পালন করেছিল। এজন্য তারা ব্যাংক বা এনজিও থেকে লোন ও নিয়েছিল । কিন্তু হঠাৎই এবার কোরবানির আগে ভাবে উদার ভাবে ভারতীয় গরু আমদানীতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে। চোরাপথেও বিপুল সংখ্যক ভারতীয় গরু ঢুঁকেছে এবার। অদৃশ্য কারণে বিএসএফের সীমান্ত প্রহরায় শৈথিল্যও ছিল বলে গরু আমদানি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে । ফলে বগুড়ার কোরবানির হাটে দেখা গেছে ভারতীয় গরুর ছড়াছড়ি। গরুর খামারি ও ব্যবসায়ী শামসুল আবেদীন ইনকিলাবকে বলেছেন , সাধারণত ভারতীয় গরু উত্তর সীমান্ত দিয়ে বৈধ / অবৈধ পথে ঢুঁকলেও তা চলে যেত রাজধানী ঢাকার হাটে। কিন্তু এবার ভারতীয় গরু কেন বগুড়ার হাটে উঠলো তা ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। তার বিশ্বাস ভারতীয় গরুর কারণে এবার নিশ্চিত ভাবে দেশীয় গরুর খামারী বা ব্যক্তিগত ভাবে গরু পালন কারীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, পেঁয়াজ ও চালের ক্রাইসিসের কারণে ভারতীয়রা ওই দুটি পন্যের রফতানি মুল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার গবাদী পশুতে এবার দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করায় তারা দীর্ঘদিন পর গরু পাঠাতে দ্বিধা করেনি। তারা বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত তিনটি হাত দিয়ে সওদা করে । এর একটি হল ডান হাত, বাঁ হাত আর অজুহাত। এবার গরুর রফতানি বা পাচারের অর্গল খুলে দেওয়ার কি অজুহাত তারা দেখাবে কেবল মাত্র তা ’ আল্লাহই বলতে পারেণ। বগুড়া জেলা পশু সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন , বগুড়ায় এবার ৯৮ হাজার ষাঁড় , ২৫ হাজার বলদ, ৩ লাখ ছাগল এবং ৩১ হাজার ভেড়ার মজুদ তৈরী আছে । যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও অন্যস্থানে পাঠানো যেত। এই অবস্থায় বগুড়ার হাটে ভারতীয় গরুর উপস্থিতি অশনি সংকেত বৈত নয়।
এদিকে গ্রামের ছোট ছোট হাট গুলোতে গ্রামের মানুষের কাছ থেকে পাইকারের ছদ্মবেশে জাল টাকার কারবারিরাও একটা বড় আতংকের কারণ। তবে বগুড়ার জেলা ও পুলিশ প্রশাসন কোরবানির হাটে জাল নোটের কারবারিদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।