Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐতিহাসিক কাঠামো বা পরিবেশ পরিবর্তন মেনে নেয়া হবে না

| প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সা¤প্রতিক সংঘর্ষের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান। বৈঠকে দুই দেশের শীর্ষ নেতা এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন যে, আল-আকসা মসজিদের কাঠামো কিংবা ঐতিহাসিক পরিবেশে কোনও পরিবর্তন ঘটাতে যে কোন পদক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। খবরে বলা হয়েছে, মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা মসজিদ নিয়ে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান। তেহরানভিত্তিক স¤প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির অনলাইন ভার্সনে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, জর্দানের বাদশাহ ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদ দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। চলতি আগস্টের ৮ তারিখে ফিলিস্তিন.পিএস নামের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যবেক্ষণবিষয়ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানায়, ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেরুজালেমের নিজস্ব ও প্রদেয় সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগ উঠেছে। জেরুজালেম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের চেয়ারম্যান হাসান খাতার দাবি করেছেন চুরি যাওয়া নথিগুলোর মধ্যে জেরুজালেমের ওল্ড সিটির ৯০ শতাংশেরও বেশি সম্পত্তির বিস্তারিত ও গোপনীয় তথ্য ছিল বলেও দাবি করেন। খাতারের আশঙ্কা ইসরাইলি দখলদাররা জেরুজালেমে তাদের জুডাইজেশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এ নথিগুলোকে ব্যবহার করতে পারে। খবর অনুযায়ী আব্দুল্লাহ-এরদোগান বৈঠকে দুই নেতা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসের পরিচিতি হুমকির মুখে পড়বে। খবরে আরো বলা হয়েছে, বৈঠকে এরদোগান ও বাদশাহ আব্দুল্লাহ সহিংসতা অবসানের জন্য ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের মধ্যে নতুন করে কথিত শান্তি আলোচনা শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে এবং পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই কেবল সমস্যার সমাধান সম্ভব। আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একইসঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে থাকে। গত ১৪ জুলাই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের সঙ্গে ইসরাইলি পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর মসজিদ প্রাঙ্গণটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পর নতুন করে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। মেনে চলতে হতো অনেক নিয়ম। বিগত ৫০ বছরে এই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। আর ইসরাইল এখন আল আকসার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেস টিভি।



 

Show all comments
  • তানজীম ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১১:২৪ এএম says : 0
    জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানকে অসংখ্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • পারভেজ ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ৩:০৫ পিএম says : 0
    সকল মুসলীম নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কাসেম ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ৩:০৮ পিএম says : 0
    ইসরাইলি দখলদাররা প্রতিরোধে সারা বিশ্ববাসীর এক হওয়া উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • মো: হাবিবুর রহমান ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ১০:২৬ পিএম says : 0
    আল্লাহ মুসলমানদের ১ম ক্বিবলার মর্যাদা রক্ষাকারী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ