পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেশন পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। কাউন্টারের শুধু মানুষ আর মানুষ। মানুষের সারি এঁকেবেঁকে স্টেশনের চত্বর ছাড়িয়ে বহুদুর পর্যন্ত গেছে। আগের দিন ( সামবার) দুপুর থেকেও অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ভিড়ের কারনে টিকিট বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে কাউন্টারের কর্মচারিদের। শেষ দিনে গতকাল বিক্রি হচ্ছে ৩১ আগস্টের টিকিট।
সরেজমিনে স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, ২৩টি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। যার মধ্যে ২টি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বেশিরভাগই বেসরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। ছুটি কম থাকায় ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে তারা ৩১ আগস্ট বাড়ি যাবেন। দিনাজপুরগামী দ্রæতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের সময় ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে সেই সময় ট্রেনে ওঠাই মুশকিল। এসব জেনেও ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি কারণ মহাসড়কের অবস্থা ভালো না। বাসে দিনাজপুরে একদিনে যাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, আজ টিকিট কাউন্টারে এতো ভিড় যে টিকিট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখছি না। অন্যদিকে রাজশাহীগামী সিল্কসিটির এসি টিকিট শেষ জেনে কাউন্টারে কর্মরতদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবি নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ভোরে এসে টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। কাউন্টের পৌঁছানোর আগেই শুনলাম এসি টিকিট শেষ। তাহলে এতো কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে লাভ কি? এ বিষয়ে কাউন্টারের কর্মরতরা জানান, ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে এসি টিকিটের। সবাই এসি টিকিট চায়। তাই সবার আগে এসি টিকিট শেষ হয়ে যায়।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, গতকাল শেষ দিনে বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার ১০২টি টিকিট। এছাড়া অন্যান্য চলতি ট্রেন মিলিয়ে টিকিট বিক্রি হবে ৫০ হাজার। কিন্তু আজ কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যতজন লাইনে দাঁড়িয়েছে তাদের সবাইকে আমরা টিকিট দিতে পারবো না, কারণ আমাদের সম্পদ সীমিত। এর মধ্যেই আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের মধ্যে ২৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ। তিনি জানান, এবারের ঈদে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেয়া করবে রেলওয়ে। আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ঈদের পর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।