পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আদালত অবমাননা করায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে সরকার ইচ্ছা করলে রিভিউ করতে পারেন। কিন্তু বিরূপ মন্তব্য করতে পারে না। সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষোদগার করেছেন। তিনি এটা করতে পারেন না। যদি উচ্চ আদালত স্বাধীন হয় তাহলে তাকে আদালতের সামনে দাঁড় করানো হোক। যদি তা না করেন তাহলে আমরা করবো। গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বন্যার্তদের জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্রাণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, নিম্ন আদালত সরকার দখলে নিয়ে উচ্চ আদালতকে করায়ত্ত করতে চাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিষোদগার করায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আদালত অবমাননা করছেন দাবি করে তিনি বলেন, তিনি (খায়রুল হক) এটি করতে পারেন না। তিনি রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তিনি মুন সিনেমা হলের কেস নিয়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছিলেন। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেছিলেন। যে ব্যক্তিটি আজকের বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচনকে নষ্ট করে দিয়েছেন সে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তিনি এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষোদগার করছেন। সুপ্রিম কোর্ট যদি চাপে না পড়ে তাহলে খায়রুল হককে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়ে তাকে ধমক দিয়ে আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কাছে গিয়ে চাপ দিচ্ছেন, ধমক দিচ্ছেন। এটি অনৈতিক কাজ। এখানে কোনো ব্যাধি বা আসামি বিচারকের সঙ্গে দেখা করতে পারে না। কিন্তু আপিল বিভাগের রায়ের পর আওয়ামী লীগের আইনজীবী, সাধারণ সম্পাদক, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী দেখা করেছেন। এটি অনৈতিক, অনভিপ্রেত।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বন্যার্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকার ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। সরকারের গুরু দায়িত্ব হলো বানভাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করা। বর্তমান সরকার সেটি না করে শুধু মাত্র মিডিয়ার কাভারেজ দেয়ার জন্য বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় যাচ্ছেন। সরকার বানভাসী মানুষের পাশে নেই অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন, বেদনাদায়ক যে, জনগণের সরকার থাকলে যেভাবে ত্রাণ নিয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন সেভাবে দাঁড়াচ্ছে না। সঠিকভাবে তাদের পাশে না দাড়িয়ে স¤প্রতি সুপ্রিমকোর্টের রায় বাতিল নিয়ে রাজনীতি মেতে আছে। তিনি বলেন, এই সংসদ থেকে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত তা বৈধ নয়। যদি গণতন্ত্রে, সংবিধানে, সুপ্রিমকোর্টের প্রতি বিশ্বাস করে তাহলে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। দুর্গতদের প্রতি সমবেদনা, মৃতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, নদীভাঙন ও বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। আশা করেছিলাম, সরকার শুরু থেকে বন্যার্তদের পাশে থাকবে। কিন্তু তারা না থাকলেও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহŸান জানিয়েছেন। সরকার যেহেতু জনগণের বন্ধু নয়, তাই যেন আমরা নিজেরা তাদের পাশে দাঁড়াই। বিএনপির ত্রাণ বিতরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ত্রাণ সামগ্রীর প্রতিটি ব্যাগে থাকবে চাল ৫ কেজি, এক কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি চিরা, ১ প্যাকেট লবণ, আধা লিটার তেল, মোমবাতি ৫টি, খাবার স্যালাইন ১০ প্যাকেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এক পাতা এবং একটি লাইটার।
সরকারের আচরণে ব্যথিত হয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি বেদনাদায়ক যে, জনগণের সরকার থাকলে যেভাবে ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন সেভাবে দাঁড়াচ্ছে না। প্রয়োজনের তুলনায় অল্প ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার নেয়ায় তারা ব্যস্ত।
খালেদা জিয়াকে নির্মূল করতে হবে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সরকারের দরকার হলো বন্যার্তদের সহযোগিতা করা। অথচ তারা খালেদা জিয়াকে নির্মূল করতে চায়। মন্ত্রীকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক শূন্যতা করে গেছে তা পূরণের জন্য জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএনপি এমনিভাবে বানে ভেসে আসেনি। বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছেন কিন্তু তা সম্ভব নয়। খালেদা জিয়াকে নির্মূল করা যাবে না। বিএনপিকে নির্মূল করা যাবে না। যারা জনবিরোধী, স্বৈরাচারী তারাই পৃথিবী থেকে নির্মূল হয়েছে। একদিন আপনারাই নির্মূল হয়ে যাবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ত্রাণ বিতরণে আমরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। এর পরও আমরা জনগণের মাঝে যাচ্ছি। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা যাব। সরকার শুধু গালিগালাজ, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। ত্রাণ বিতরণেও তাদের কোনো ভূমিকা দেখছি না বলেও জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারি বাবুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক শরাফত আলী সফু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।