Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা নিয়েও জনগণের সাথে প্রতারণা করছে সরকার: ড. খন্দকার মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২০, ৩:৩১ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়েও ক্ষমতাসীন সরকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় জহুর হোসেন হলে মুক্ত হোক গণতন্ত্র, নিশ্চিত হোক সুস্বাস্থ এই স্লোগানে "করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ পরিস্থিতি" শীর্ষক বৈজ্ঞানিক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ডা: আবদুস সালামের পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা: একেএম আমিনুল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডাঃ মোঃ আবদুস সেলিম, কোষাধ্যক্ষ ডাঃ শাকিল, যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ড্যাব নেতা ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, দফতর সম্পাদক ডাঃ ফখরুজ্জামান সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী। অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক ড্যাবের উদ্যোগে তৈরি লিফলেট বিতরণ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংকিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে করোনাকে মহামারী ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু সরকার এটাকে গুরুত্ব দেয়নি। অবহেলা করেছে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। বিমানবন্দরে ভাইরাস সনাক্ত করতে কোনো শক্ত ব্যবস্থা নেই। কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে খবর বেরিয়েছে। অথচ সরকার বলে তারা এই করছে সেই করছে। আসলে সরকার যেভাবে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রতারণা করে ২৯ ডিসেম্বর করেছে। সেভাবেই সরকার করোনা নিয়ে দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করছে।
ড্যাবের এই কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী প্রশংসনীয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে বিমানবন্দরে ভাইরাস সনাক্ত করতে কোনো থার্মাল স্ক্যান মেশিন নেই। নৌবন্দর, স্থল বন্দর তো রয়েই গেছে। আর সরকার বলছে সবধরনের ব্যবস্থা আছে। আসলে তারা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করছে। কোনো হাসপাতালেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। এর থেকে বিশ্বাসঘাতকতা আর কী হতে পারে?
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যদি করোনা ছড়াতে পারে তো বাংলাদেশ কি এর বাইরে যাবে? বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। সুতরাং সরকার শুধু লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জনসচেতনতা বাড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো জরুরি। তা না হলে কঠিন এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসেম্বর মাসে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা ছিলনা। তারা বিষয়টি গোপন করেছিল। আর সরকার তাদের মুজিববর্ষ পালনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তারা জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে যে কাজ করেছে তা দু:খজনক ও নিন্দনীয়। আসলে বিদেশী কূটনীতিকরা ও রাষ্ট্রীয় মেহমানদের কথার প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে বাংলাদেশে তিন জন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত। প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা বেশি হতে পারে। আমরা এ নিয়ে কোনো রাজনীতি করছিনা। বরং আমাদের শাসনামলে তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকার উদ্যোগে সবার সাথে মতবিনিময় করে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিলো। অথচ বর্তমান সরকার বললো ডেংগু নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দেখা গেল সেই গুজবই পরবর্তীতে গজবে পরিণত হয়েছে। গতবছর সারা বাংলাদেশে ডেংগু ছড়িয়েছিল। আমরা গুজব ছড়াইনা। বরং আপনাদের হুঁশিয়ার করে দিই। যেহেতু সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সুতরাং তাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থাও নেই। আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই তারা এসব করছে। তারা করোনা নিয়ে উদাসীন। আমরা তাদের কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন ও আতংকিত। গণতন্ত্রের স্বার্থে এই মুহুর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে সরকারের ইঙ্গিতেই খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না। একই কারণে বেগম জিয়ার সঠিক স্বাস্থ প্রতিবেদন আদালতে যায় না। পিরোজপুরে একজন বিচারকের স্ট্যান্ড রিলিজের ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেন সাবেক এই মন্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে ড্যাবের মহাসচিব আবদুস সালাম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উত্তরােত্তর বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ১০৯ টি দেশে করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত রােগী সনাক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে সরকারিভাবে ৩ জন রােগী সনাক্তের পর চিকিৎসাধীন আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই ভয়াবহ ভাইরাসের আক্রমণ মােকাবিলায় সামান্য কিছু আশ্বাস ছাড়া কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দৃষ্টিগােচর হয়নি। এমনকি সরকারের দায়িত্বশীল কোনাে মহল থেকেও সুনির্দিষ্টভাবে সরকারের কোনো প্রস্তুতি বা পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হয়নি।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে জনগণের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । ডক্টরস এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব ) এদেশের মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার অংগীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটি পেশাজীবি সংগঠন। করােনা ভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত এই বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাসের অনাহুত সংক্রমণ মােকাবিলায় বর্তমান সরকারের এহেন দূর্বল প্রস্তুতি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে । প্রথমত, করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আমাদের দেশকে বাঁচাতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পদক্ষেপ হল আমাদের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর দিয়ে যারা দেশে প্রবেশ করছেন, তাদের যথাযথ পরীক্ষা করা এবং প্রয়ােজন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ। এই কাজটি করার ক্ষেত্রে সরকারের গাফিলতি আছে বলে মনে হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি, মাত্র কয়েকদিন আগে বিমানবন্দরে বসানাে স্ক্যানার মেশিনগুলাে এখন আর কাজ করছে না। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে থেকে আগত ব্যাক্তিদের রােগ পরীক্ষা কিভাবে করা হচ্ছে বা আদৌ কার্যকরীভাবে কোনাে পরীক্ষা হচ্ছে কিনা , তা আমাদের জানা নাই। আর এই বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করা না গেলে এদেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুতেই রােধ করা যাবে না। দ্বিতীয়ত , যেহেতু ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, তা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে। এটি মােকাবিলায় মূলত দুটি পথ আমাদের সামনে খােলা রয়েছে। তা হলাে, আক্রান্ত ব্যাক্তিদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং দেশের অভ্যন্তরে এই ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরােধ করা।
তিনি বলেন, অতীতে ডেংগু পরিস্থিতি মােকাবিলায় সরকারের ব্যার্থতা আমাদের মনে আছে। সরকারি বেসরকারি কোনো হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে দেশব্যাপী ডেংগুপীড়িত রােগীদের ভােগান্তি আর অসহায় আর্তনাদ আমাদের আগামীদিনের অনাহুত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্নতার মাত্রাকে আরাে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে সীমিত সংখ্যক হাসপাতালে করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত রােগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়ােজনের তুলনায় অপ্রতুল হতে পারে বলে আমাদের আশংকা হয় । আবার বিশেষ এই রােগটির যথাযথ চিকিৎসার জন্যে ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। শেষােক্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলাে- অনাকাঙ্খিত এই রােগটির আভ্যন্তরীণ বিস্তার প্রতিরােধে নাগরিক সচেতনতা গড়ে তােলা। যার মাধ্যমে দেশের জনগণ এই রােগের সংক্রমণ থেকে নিজেকে এবং আশেপাশের মানুষকে বাঁচানাের কৌশল শিখে নেবে । কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ এক্ষেত্রেও সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার মত কোনাে কার্যকরী পদক্ষেপ বা কর্মসূচি আমরা এখনাে দেখিনি।
ড্যাবের মহাসচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন করােনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে "ভয়াবহ" সতর্কতা জারি ও মহামারী ঘোষণা করেছে, সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশ যখন তাদের নাগরিকদের এই প্রানঘাতি ব্যাধি থেকে বাঁচাতে রাষ্ট্রের সর্বশক্তি নিয়ােগ করছে , ঠিক তখন আমাদের দেশ এই ভাইরাসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকার পরও এর মােকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের শিথিলতা আমাদের অত্যন্ত আশাহত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এমতাবস্থায়, দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে আমরা ডক্টরস এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ড্যাব ) এর পক্ষ থেকে আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব রাখতে চাইঃ এক: করােনা ভাইরাস প্রতিরােধে গঠিত জাতীয় কমিটিতে মন্ত্রী, এমপি, ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দলমত নির্বিশেষে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের যেমন, প্রকৌশলী, শিক্ষক, চিকিৎসক , আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি ব্যাক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করা হােক। একইভাবে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলােতেও সমাজের বিভিন্ন স্তরের ও বিভিন্ন পেশার মানুষদের একীভূত করা হােক। দেশের সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া এই ভয়াবহ দুর্যোগ মােকাবেলা করা দুরূহ হবে। দুই: দেশের অভ্যন্তরে করােনা ভাইরাসের অনাকাঙ্খিত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকরী স্ক্রিনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলাে বিস্তারিতভাবে দেশের জনগণকে অবহিত করা হােক। তিন: সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলাে বিস্তারিতভাবে দেশের জনগণকে অবহিত করা হােক। যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলাের প্রস্তুতি সম্পর্কে অনতিবিলম্বে জনগণকে অবহিত করা হােক। সেক্ষেত্রে কোথাও কোনাে দূর্বলতা বা ব্যাত্যয় জনগণের কাছে পরিলক্ষিত হলে এখন প্রস্তুতিপর্বেই সেগুলাে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। চার: করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও চারপাশের মানুষকে মুক্ত রাখতে প্রয়ােজনীয় ব্যাক্তিগত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রয়ােজনীয় গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি অনতিবিলম্বে শুরু করতে হবে। পাঁচ: অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এই করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত রােগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকরী চিকিৎসক ও নার্সদের প্রােটেকটিভ ইকুইপমেন্টের কোনো অস্থিত্ব আমাদের দেশে দৃশ্যমান নয়। যা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়াবে। এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান কি তা আমরা জানতে চাই।
মূল প্রবন্ধকার অধ্যাপক ডাঃ আমিনুল হক জানান, মূলত ২০০৩ সাল থেকেই করোনা ভাইরাসটি শুরু। তবে শুরুতে এতো সংক্রমণ ঘটেনি। এটা একটা পরিবারের মতো। যার সাইজ ১২০-১৬০ ন্যানো মিটার। যাকে আরএনএ ভাইরাসও বলা হয়। গলা শুকনা থাকলে ভাইরাস ঢুকে যাবে। মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটলে একজন থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমণ ঘটবে। বলা হচ্ছে প্যাংগোলিন বা বনরুই এর মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। তবে এটি এখনো কেউ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেনি। করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত সেটা এখনো অস্পষ্ট। কেননা এই ভাইরাসের কোনো ঔষুধ নেই। তবে রোগিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। করোনা প্রতিরোধে যতো নির্দেশনা আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। ভীত হওয়া, গুজবে কান দেয়া যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ হারুন আল রশিদ বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা নিয়ে যখন সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন তখন বাংলাদেশ সরকার বর্ষ পালনে ব্যস্ত ও উদাসীন। তারা হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে বাজেট দিয়ে কোনো উন্নয়ন করেনি। বরং তারা বর্ষ পালনে ব্যস্ত। আমরা বলবো দ্রুত গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তার না হলে রোগটি ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। এমনিতেই করোনারা সম্ভাব্য প্রতিরোধক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন জিনিসের সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা ড্যাবের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ নিবো। লিফলেট বিতরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. খন্দকার মোশাররফ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ