পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে সম্প্রতি চালু করোনারী কেয়ার ইউনিটে (সিসিইিউ) সরকারী ও বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহায়তায় হার্টের জটিল রোগীরা উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। চিকিৎসা সেবায় সরকারী হাসপাতালে ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও আর্থিক সহযোগিতা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা জানান।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারী ১৬টি বেড সম্বলিত হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শুধুমাত্র হার্টের রোগীদের জন্য করোনারী কেয়ার (সিসিইউ) ইউনিট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুয¥ সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর (৩) আসনের এমপি মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এমপি মাহবুব-উল-আলম হানিফের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হাসপাতালে বহুল প্রত্যাশিত সিসিইউ ইউনিট চালু হয়। এ ইউনিটটি চালুর সময় সরকারীভাবে ১৬টি মনিটরসহ হার্টের রোগীদের চিকিৎসায় আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ কার্ডিয়াক বিভাগের ডাক্তার নাসিমুল বারী বাপ্পীর প্রচেষ্টায় সিসিইউ ইউনিট ওয়ার্ডের আধুনিকায়নসহ রোগীদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় বিত্তবান ব্যক্তিগর্ব। দানশীল ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহয়তায় সিসিইউ ইউনিটের রোগীদের জন্য সিরিঞ্জ পাম্প মেশিন, ২টি ডিসি মেশিন, উন্নতমানের বেড, সিলিং ফ্যান,ফ্রিজ ও এসি সংযোজনসহ আধুনিকায়ন করা হয়। এছাড়া রোগীদের ব্যবহৃত টয়টেলগুলো টাইলস ফিটিংস সম্বলিত উন্নতমানের করা হয়। সরকারী হাসপাতালে ব্যক্তিগত আর্থিক সহয়তা প্রদানকারীদের মধ্যে কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এম এ মান্নান, তৈমুর মামমুদ পালং এবং জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এছাড়া নামপ্রকাশে অনেচ্ছুক বিত্তবান অনেকে সিসিইউ ইউনিটে আর্থিক সহয়তা দিয়েছেন। সরকারী হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে বিত্তবানদের আর্থিক এ সহয়তাকে হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা সাধুবাদ জানিয়েছে। সিসিইউ ইউনিট চালুর আগে এই হাসপাতালে হার্টের এ্যাটাকের রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে রাজশাহী কিংবা ঢাকায় স্থানান্তর করা হতো। বর্তমানে হাসপাতালে সিসিই্উ ইউনিটটি চালুর ফলে এ অঞ্চলের হার্টের রোগীরা সম্পর্ণ বিনাখরচে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা ও চিকিৎসা পাচ্ছে। গত বছর এ ইউনিটে ১ হাজার ৬শ’ জন রোগী ভর্তি ছিল। ভর্তিকৃত এসব রোগীর অধিকাংশই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে। তবে ভর্তিকৃত ১৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এবছর চলতি বছরের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত ১ হাজার ২৮ জন রোগী সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছে। সিসিই্উ ইউনিট চালুর ফলে হার্ট এ্যটাকে আকস্মিক রোগী মৃত্যুর হার অনেকটা কমেছে বলে দায়িত্বরত নার্সরা জানান। হাসপাতালের একদল উদ্যমী চিকিৎসক ও আটজন কার্ডিয়াক প্রশিক্ষিত নার্স পালাক্রমে সিসিই্উতে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা এবং পাশ^বর্তী ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ি জেলার রোগীরাও এই হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি গ্রামের জইমুদ্দিন (৭০) সিসিইউ ইউনিটের সার্বিক ব্যবস্থপনা ও ডাক্তার-নার্সের চিকিৎসা সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সিনিয়র ষ্টাফ নার্স লয়নী নিহার বিশ^াস জানান, হাসপাতালে সিসিইউ ইউনিট চালুর ফলে এঅঞ্চলের হার্ট এ্যাটাকের রোগীরা সহজেই চিকিৎসা লাভ করছে। পাশাপাশি গরীব রোগীদের সরকারীভাবে প্রদানকৃত ওষুধ বিনামুল্যে দেয়া হচ্ছে। তবে এই ইউনিটের বেড সংখ্যা আরো বাড়ানো হলে রোগীরা আরো বেশী বেশী চিকিৎসা সেবা পাবে বলে তিনি জানান। এছাড়া মহিলা ও পুরুষ রোগীর জন্য আলাদা ওয়ার্ড অনুমোদন দেয়া হলে রোগীরা আরো বেশী সেবা পাবে।
কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগের কনসালটেন্ট ডাক্তার নাসিমুল বারী বাপ্পী জানান, হাসপাতালে সিসিইউ ইউনিট চালুর ফলে এ অঞ্চলের হার্ট এ্যাটাকের রোগীরা সহজেই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। তবে সরকারী উদ্যোগে হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা সেবার পরিধি আরো বাড়ানো হলে রোগীরা বেশী উপকৃত হবে বলে তিনি জানান। কুষ্টিয়া ২৫০ বেড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাক্তার হাসান্জ্জুামান জানান, সিসিইউ চালুর ফলে হার্টের সংকটাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে হাসপাতালে একটি বিদ্যুত সাব-স্টেশন ও ওষুধের ওয়্যার হ্উাজ নির্মিত হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহসহ রোগীদের বিড়ম্বনা দুর হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।