Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

উত্তরাঞ্চলে ত্রাণের জন্য হাহাকার

| প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 আক্রান্ত ৪৮ লাখ মানুষ : মাথাপিছু সরকারি বরাদ্দ সাড়ে ৩ কেজি চাল : এখনো ত্রাণ পৌঁছেনি

পঞ্চায়েত হাবিব : উত্তরাঞ্চলসহ দেশের ৩০ জেলার লাখ লাখ বানভাসি মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। বাঁধ, উঁচু রাস্তা ও স্কুল-কলেজে আশ্রয় পেলেও দুর্গতরা অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। কারো পাতে সামান্য খাবার জুটলেও অনেকেই অনাহারে থাকছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ তৎপরতা থাকলেও তা খুবই কম বলে জানিয়েছে বন্যাকবলিতরা। এ ছাড়া সারাদেশের সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ দেয়ার কথা ১০ কেজি সেখানে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। আবার অনেক জেলায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে এখনো সরকারি ত্রাণ পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। অনেক জেলায় ত্রাণের দাবিতে মিছিলও করেছে অসহায় মানুষগুলো। গতকাল বিকেল সরকারি তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ২৬ জেলার ১৩১টি উপজেলায় বানের পানি ঢুকেছে। এতে এক লাখ ৮৬ হাজার ৫৬৭টি পরিবারের ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ৯৪৪ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ৪৫ হাজারে বেশি। এ পর্যন্ত ৯ তারিখ থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে ১৮ হাজার ৫০০ মে: টন চাল এবং ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। যা আক্রান্ত ৪৮ লাখ মানুষের মাথাপিছু সরকারি বরাদ্দ সাড়ে ৩ কেজি চাল পড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে ডিজি রিয়াজ উদ্দিন ইনকিলাবকে জানান, এ পর্যন্ত ৯ আগস্ট থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে ১৮ হাজার ৫০০ মে: টন চাল এবং ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ দিকে আজ শনিবার বিকেলে দেশের বিভিন্ন জেলায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ১৭ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে সারাদেশে খাবারের সঙ্কটে মারা গেছে হাজার হাজার হাঁস মুরগী ও গবাদি পশু। অন্যদিকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার পুকুরের মাছ। বন্যায় খাদ্য সঙ্কটে পড়ে অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে হাঁস। ফলে লোকসানের মুখে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। ফসল হারানোর পর হাঁস পালন করে কোনোরকমে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন যারা হাঁসের মড়ক দেখা দেয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন। মড়ক দেখা দেয়া বিভিন্ন জেলায় মারা গেছে ৯০ হাজার ২৫০টি হাঁস।
উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল : কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর ও রাঙ্গামাটি জেলার ১৩১টি উপজেলা ও অনেক পৌরসভা এখন বন্যায় প্লাবিত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলায়। এ জেলার সব উপজেলা বন্যাকবলিত। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ার পর উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে, তবে পানি বাড়ছে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদীগুলোতে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া সরকারি তথ্য মতে, সারাদেশে বন্যায় এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা রয়েছে সেখানকার জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী নেতারা অনিয়ম করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্গত অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। এর মধ্যে রয়েছে রংপুরের বদরগঞ্জ। সেখানে বুুধবার বন্যাকবলিত নারী-পুরুষ ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ত্রাণ বিতরণে অব্যবস্থাপনার নমুনা দেখা গেছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নে। সাজিরন নামের এক বৃদ্ধা ত্রাণ আনতে গিয়ে পা ভেঙে খালি হাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরেছেন। যদিও সরকার জোরালোভাবে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। তারপরও গতকাল রংপুর জেলার পীরগাছা উজেলার হারাগাছ ইউনিয়নে ১০ কেজি চাল বিতরণের পরিবর্তে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ নিয়ে মিছিল করেছে জনগণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম এমপি বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাপ্লাবিত মানুষের কষ্ট লাঘবে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। চাহিদা থাকলে আরো পাঠানো হবে। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে খাদ্যের জন্য কেউ কষ্ট করবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে বন্যায় ১ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত মারা গেছে ১০৭ জন। বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মাঠে নামানো হয়েছে এক হাজার ৮২৪টি মেডিক্যাল টিম। বন্যা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বন্যার কারণে দেশে যে বিপত্তি হচ্ছে, তা খুবই সাময়িক। সরকার অতি সহজেই সঙ্কট মোকাবেলায় সক্ষম হবে।
অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকার চলতি অর্থবছরে ১৫ লাখ মে: টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনা করে চালের আমদানি শুল্ক বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হচ্ছে।’ যদিও বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য ‘সরকারের ত্রাণ তৎপরতা নেই’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ঠাকুরগাঁও জেলার শিল্পকলা একাডেমি মাঠে বন্যাপ্লাবিত মানুষের সাথে মতবিনিময় ও ত্রাণ বিতরণকালে এ কথা বলেন। মায়া চৌধুরী বলেন, যতক্ষণ বন্যার পানি নেমে না যায় এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হয়, ততক্ষণ ত্রাণ সাহায্য অব্যাহত থাকবে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৫ উপজেলার ৪১টি গ্রাম বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এখানে এ পর্যন্ত পানিতে পড়ে একজন লোক মারা গেছে। এখানে এ পর্যন্ত ৭৫০ টন চাল, ১৭ লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজকে আরো ১০০ মে: টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি। এগুলোতে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে। জেলার ১৩ উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। দিনাজপুরে এ পর্যন্ত ১৭৯৫ টন চাল, ৬৬ লাখ টাকা এবং ৫০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজকে আরো ১০০ মে: টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টাঙ্গাইলে জেলা প্রসাশক খান মো: নূরুল আমিন বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভ‚ঞাপুর ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে শুকনা খাবার এবং চাল আজকের মধ্যে পৌঁছে যাবে। বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করার জন্য ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর তাদের সাহায্য করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত কাজ চালাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু ছালেক মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জেলার ৯টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের ৮২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এক লাখ ১৭ হাজার ৩০২টি পরিবারের চার লাখ ৭৯ হাজার ৮২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে ভেসে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ জেলার ১৬টি নদ-নদীর ৪৪ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া পানি উঠে পড়ায় ৬০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার মিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে দুই হাজার ৬৯৪টি বাড়ি। ঘরবাড়ি ছেড়ে এক লাখ ১৭০ জন মানুষ আগ্রয়কেন্দ্র, উঁচু রাস্তা ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে এবং কোথাও সঙ্কট নেই বলে জানান জেলা প্রশাসক। লালমনিরহাট জেলার ভারপ্রাপ্ত ত্রাণ কর্মকর্তা সুজাদ্দৌলা বলেন, এক লাখ দুই হাজার ৭৫০টি বন্যাদুর্গত পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ৩৮২ মে: টন চাল ও ১২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ও ১৭০০ শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জেলার ৯৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আট হাজার ৯৫৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। নীলফামারীর বানভাসি মানুষের মাঝে রয়েছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা থাকলেও তা অপ্রতুল বলে দাবি করেছে দুর্গতরা। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত নীলফামারীতে ১৯৬ মে: টন চাল, ৯ লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় আরো চাল এবং পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ত্রাণ মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে ওই মজুদ থেকে বিতরণের জন্য বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। গাইবান্ধায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় এবার ত্রাণের বরাদ্দ একেবারে কম। ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ২০০ মে: টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ নিয়ে বানভাসি মানুষের মধ্যে কিছুটা হতাশা রয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ করার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যাচ্ছে। তারা ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব পছন্দের লোকদের প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার : রংপুরের বদরগঞ্জে আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিতদের কেউ খোঁজ নিচ্ছে না বলে দাবি করেছে দুর্গতরা। ফলে উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা ইউএনওর কাছে মৌখিক অভিযোগ করে পৌর শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বদরগঞ্জ পৌর শহরের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের বানভাসি মিছিরন নেছা (৫০)। তিনি বলেন, ‘থাকি ঘরবাড়ি ছাড়ি পড়ি আছি। কায়ো খবর নেওচে না। নদীর পানি খালি বাড়োচে। কপালোত কী হইবে আল্লায় জানে।’ হালিমা বেগম (৬৫) বলেন, ‘বাহে গত সমবার অ্যাটে কোনা আলচি। কায়ো হামার পাকে তাকাওচেনা।’ কুড়িগ্রামের হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, ‘আমার ইউনিয়নে সাত-আট হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। আর আমাকে ৫ মে: টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১০ কেজি করে ৫০০ মানুষকে বিতরণ করলে শেষ হবে। বাকি লোকদের কি দেবো? এ ছাড়া, হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের উত্তর সীমান্ত দলদলিয়া ইউনিয়নের বজরা ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৪০ কি.মি বাঁধের রাস্তায় ঠাঁই নেয়া কয়েক হাজার বানভাসি মানুষের আহাজারির শেষ নেই



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানুষ

২৭ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ