মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ফ্লোরিডা, ওহাইও-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ভোটের আগে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ শানালেন ডেমোক্র্যাটদলীয় মনোনয়ন অভিলাসী হিলারি ক্লিন্টন ও বার্নি স্যান্ডার্স। বুধবার রাতে স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল ইউনিভিশন-এর আয়োজনে ডেমোক্র্যাটিক বিতর্কে লড়াইয়ের অন্যতম বিষয় হয়ে উঠল অভিবাসন নীতি। এই বিতর্কে হিলারি বলেন, আমেরিকায় ইতোমধ্যেই এসে পড়া শিশুদের এবং অপরাধমূলক কোনো কাজের রেকর্ড নেই এমন অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবেন না তিনি। যদি শেষ পর্যন্ত নভেম্বরের নির্বাচনে লড়াইটা ট্রাম্প বনাম হিলারি হয় তাহলে বিল-পতœীর এই চরম অবস্থানকে যে রিপাবলিকানরা প্রচারের হাতিয়ার করতে কসুর করবেন না তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, ১৫ মার্চের আসন্ন ভোটে ওহাইও’র মতো রাজ্যগুলোতে স্যান্ডার্সও সুবিধা পেতে পারেন। সম্ভবত সে জন্যই বিতর্ক শেষ হওয়ার পরে হিলারির অনুগামীরা তার বক্তব্যকে কিছুটা লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট ওবামাও আমেরিকায় শিশু হিসেবে আসা অভিবাসীদের অথবা আমেরিকায় জন্মানো শিশুর অভিবাসী বাবা-মায়েদের ক্ষেত্রে নরম নীতি নিয়েছেন। হিলারি সেই নীতিকেই বজায় রাখতে চাইছেন। তিনি এ কথা আদৌ বলছেন না যে, আমেরিকায় থাকা ১১০ লাখ অভিবাসীর সবাইকে নির্বিচারে সুরক্ষা দেবেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি তার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজও অভিবাসন নীতির ক্ষেত্রে চরম নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছেন। হিলারি ক্লিনটন এবং বার্নি স্যান্ডার্স উভয় নেতাই রিপাবলিকানদের এই নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। আর সে ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারদের গরিষ্ঠ অংশ, যারা মধ্যপন্থা দিকে ঝুঁকে থাকেন, তারা হিলারিকে ভোট দিতে ইতস্তত করবেন এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। বুধবারের বিতর্কে ঠিক কী বলেছেন হিলারি? বিতর্কের সঞ্চালক রামোস হিলারিকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি একদম স্পষ্ট উত্তর চাইছি।
আপনি কি আজ রাতে আমাদের বলছেন যে, প্রেসিডেন্ট হলে যে সব শিশুরা ইতোমধ্যেই এ দেশে রয়েছে, তাদের আপনি ফেরত পাঠাবেন না?’ হিলারি জবাব দেন, ‘না, পাঠাব না।’ রামোস ফের প্রশ্ন করেন, ‘আর যে সব অভিবাসীর ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, তাদেরও ফেরত পাঠানো হবে না?’ জবাবে হিলারি বলেন, ‘ঠিক সেটাই তো আমি আপনাদের বলছি।’ বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এই অবস্থান নিতে গিয়ে হিলারি অনেকটাই বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ফেললেন। সিএনএন, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।