পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত : এক লাখ বিশ হাজার হজ ভিসা সম্পন্ন
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে হজ্জে যেতে অপারগ হজ্জযাত্রীদের রিপ্লেসমেন্ট অনুমোদন করলেও হজ্জ পরিচালক গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ এনে গতরাতে আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন হজ্জ এজেন্সীর মালিকরা। সউদী দূতাবাস নির্ধারিত সর্বশেষ ভিসার তারিখ আজ (বৃহস্পতিবার) হওয়ার প্রেক্ষাপটে রিপ্লেসমেন্ট না দেওয়ায় রিপ্লেসমেন্টের অপেক্ষায় থাকা হজ্জযাত্রী ও তাদের পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট হজ্জ এজেন্সীর মালিকরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। আজ সকাল থেকে হজ্জ এজেন্সী মালিকরা আবারো হজক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ চলতি বছর এক লাখ বিশ হাজার হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু সম্পন্ন করেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সে’র হজ ফ্লাইট যোগে প্রায় ৭১ হাজার হজযাত্রী সউদী আরবে পৌঁছেছেন। হজযাত্রী পরিবহনের কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গত মঙ্গলবার হাবের সভাপতি আব্দুস ছোবহান ভূঁইয়ার বাসায় হাবের জরুরী ইসি’র সভায় ১০%-এর উপরের হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দ্রুত দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং এ ব্যাপারে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্ত রিপ্লেসমেন্ট হজযাত্রীদের ডিও ইস্যুর কোনো প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় এজেন্সিগুলো চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিদের রিপ্লেসমেন্ট-এর ডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছে হজ এজেন্সিগুলো। এসব হজযাত্রী হজে যাওয়ার সুযোগ না পেলে হজ এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আগামী বছর বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত হজ কোটা পেতে কষ্ট হবে। একাধিক হজ এজেন্সি মালিক এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ হজ ভিসা ইস্যু কার্যক্রম শেষ করবে। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিভিন্ন হজ এজেন্সির লিখিত প্যাডের উপর ১০%-এর উপরের হজযাত্রীদের রিপ্লেসমেন্ট-এর ডিও ইস্যু করার জন্য পরিচালক হজ সাইফুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন। হজ ক্যাম্পের পরিচালক হজ ধর্মমন্ত্রীর নিদের্শকৃত রিপ্লেসমেন্টের ফাইল চাপা দিয়ে রেখেছেন। রিপ্লেসমেন্ট-এর ফাইল আটকিয়ে রমরমা ঘুষ বাণিজ্যের মুখরোচখ গল্প শোনা যায়। বিভিন্ন কারণে শত শত হজযাত্রী হজে যেতে না পারায় তাদের পরিবর্তে প্রাক-নিবন্ধিত অন্যান্য হজযাত্রীদের রিপ্লেসমেন্টের মাধ্যমে হজে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেয় এজেন্সিগুলো। সউদী-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির মধ্যে এসব বৈধ হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়া না হলে বিপুল সংখ্যক হজযাত্রী হজে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। মক্কা-মদিনায় বাড়ী ভাড়া মিনা-আরাফায় তাঁবু ভাড়া সম্পন্ন করা হয়েছে এসব হজযাত্রীর। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) মোঃ হাফিজ উদ্দিন রাতে ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেন, ১০% এর বেশি হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হবে না। ১০%-এর বেশি রিপ্লেসমেন্ট দিতে হলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছরই ১% থেকে ২ % হজযাত্রী হজে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। এবারও ২% হজযাত্রী না গেলে ২৫শ’ হজযাত্রী থেকে যাবেন সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। যুগ্মসচিব বলেন, সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ২শ’ হজযাত্রী’র মধ্যে ১৫ জন লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তারা এবার হজে যাবেন না। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্মসচিব বলেন, ১০% এর উপরের রিপ্লেসমেন্টের নিয়ে অনেক ব্যাপার-স্যাপার আছে। তিনি বলেন, হজ ক্যাম্পে রিপ্লেসমেন্টের ডিও-এর ফাইল আটকিয়ে কেউ টাকা-পয়সা চাইলে তা প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পরিচালক হজ সাইফুল ইসলাম বলেন, ১০% এর উপরে হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। সউদী দূতাবাস হজ ভিসা ইস্যুর সময় বাড়িয়েছে কিনা তা’তিনি অবগত নন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।