পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন রুটের ফ্লাইট বাতিল করে হাজী পরিবহন নিশ্চিত করা হচ্ছে : রাশেদ খান মেনন
স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হাজী পরিবহন নিশ্চিত করতে বিমানের বিভিন্ন রুটের একাধিক ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হচ্ছে।
ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’ হজযাত্রী পরিবহনের কারো গাফলতি উদাসিনতা, অনৈতিক কর্মকান্ড ও অসহযোগিতা বরদাশত করা হবে না। হজযাত্রী পরিবহনে কারো গাফলতি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাশেদ খান মেনন বলেন, নতুন পাওয়া ১৪টি শ্লটের অতিরিক্ত আরো সাতটি শ্লট পরিচালনা করতে আগস্ট থেকে বাংলাদেশ বিমানের আবুধাবির দুটি, ব্যাংককের তিনটি, দোহার পাঁচটি, দুবাইর একটি, কাঠমান্ডুর দুটি, কুয়ালালামপুরের একটি, লন্ডনের তিনটি, মাস্কাটের একটি, রিয়াদের তিনটি এবং দাম্মামের দুটি ফ্লাইট বাতিল অথবা কমিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া মালয়েশিয়া থেকে লিজ নেয়া একটি এয়ারক্রাফট ২০ আগস্ট থেকে হজযাত্রী পরিবহন করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রধান কার্যালয় বলাকায় হজ সংক্রান্ত জরুরি সভায় বিমান মন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বিমান বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এযার মার্শাল এনামুল বারী, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম জিয়াউল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমডি মোসাদ্দেক আহমেদ ও হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাচ্ছন্দে ও নির্বিঘেœ হজ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, ‘এখনো প্রায় ১৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট হজ অফিসে জমা হয়নি। ১৬টি এজেন্সি এখনো একজন হজযাত্রীকেও পাঠাতে পারেনি। অন্যদিকে অভিযোগ এসেছে, অনেক হজ এজেন্সি হাজিদের বাড়িভাড়া করেছে ২০ আগস্টের পর। এটি সত্যি হলে ২০ আগস্টের পর যে চাপ তৈরি হবে তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় এয়ারক্রাফট পাওয়া যেমন দুষ্কর হবে তেমনি অতিরিক্ত শ্লটও পাওয়া যাবে না। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা হয়েছে এমন হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠাতে হজ এজেন্সিগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।’ হজযাত্রীর অভাবে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের ২২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লাইট বাতিল হওয়া বিমানকে আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি সংকটের মুখোমুখি করেছে। এর দায় বিমানের ছিল না। তবুও ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ ক্যারিয়ার হিসেবে হজযাত্রীদের পরিবহন নিশ্চিত করতে বিমান প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য হজ ফ্লাইটের সময়সীমা ২৬ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত করতে ‘জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন সউদী আরবের প্রতি অনুরোধপত্র পাঠানো হবে।’ সভায় জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১ লাখ ২৭ হজার ১৯৮ জনের মধ্যে ৬২ হাজার ৫৪৭ জন হজযাত্রী ইতিমধ্যে সউদী আরবে গেছেন। এর মধ্যে বিমান ২৯ হাজার ৩৭৩ জন এবং সউদী অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস (সাউদিয়া) ৩৩ হাজার ১৩৫ জন হজযাত্রী বহন করেছে। গতকাল পর্যন্ত সউদী দূতাবাস থেকে ১ লাখ ১১ হাজার ৫শ’ ৯৯জন হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করা হয়েছে।
দুপুরে বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন হজ ক্যাম্পে যান। এসময়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মো: হাফিজ উদ্দিন, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহমেদ, পরিচালক হজ সাইফুল ইসলাম , হাবের মহাসচিব মো: শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ এডভোকেট ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের উপস্থিত ছিলেন। বিমান মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ইনশাআল্লাহ সকল হজযাত্রীই হজে যাবেন। তিনি বলেন, যেসব হজযাত্রীদের ভিসা হয়ে গেছে তাদেরকে দ্রæত হজে পাঠাতে এজেন্সিগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ভিসাপ্রাপ্ত হজযাত্রীদেরকে দ্রæত সউদী আরবে পাঠাতে হবে। যারা আগামী ২০ আগষ্টের পর হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠানোর জন্য বসে আছেন তারা হজযাত্রী নিয়ে বড়ই বিপদে পড়বেন। হাব মহাসচিব কালক্ষেপন না করে দ্রæত হজযাত্রীদের সউদী আরবে প্রেরণের ওপরগুরুত্বারোপ করেন। এদিকে, গতকাল দুপুরে হজযাত্রীদের খোঁজ খবর নিতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া হাজী ক্যাম্পে যান। ডেপুটি স্পিকার হাজী ক্যাম্পে অবস্থানকারী হজযাত্রীদের কাছে মুসলিম উম্মাহ এবং বাংলাদেশের কল্যাণে দোয়া চান এবং হজযাত্রীদের সুস্বাস্থ কামনা করেন। এসময়ে তাঁর সাথে হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসানাই তসলিম, যুগ্ন সচিব হাফিজ উদ্দিন, বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ এডভোকেট ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।