পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়া বিযয়ক জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করার মত যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছে। কমিশনের বিশিষ্ট সদস্য কার্লা ডি পন্টি রোববার এ কথা জানান। খবর রয়টারস।
কার্লা ডি পন্টি (৭০) রুয়ান্ডা ও সাবেক যুগোশ্লাভিয়ায় যুদ্ধাপরাধ বিচারের সাথে যুক্ত ছিলেন। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে তিনি সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ বিচারের উপযুক্ত একটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কমিশনের কাজ অব্যাহত রাখতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করে কমিশনের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা করেন। তবে কবে পদত্যাগ করবেন তা তিনি বলেননি।
সুইস সংবাদপত্র সনট্যাগস জেইতুং-এর সাথে এক সাক্ষাতকারে প্রেসিডেন্ট আসাদকে যুদ্ধাপরাধে দায়ে অভিযুক্ত করার মত যথেষ্ট প্রমাণ আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তা আছে। সে কারণেই আমি হতাশ। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। তারপরও কোনো প্রসিকিউটর নিয়োগ করা হয়নি বা আদালত নেই।
সিরিয়ার সরকারী সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার কমিশনের দলিলপত্র তৈরির খবর আসাদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়া সরকার নাকচ করেছে।
সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য ২০১১ সালের আগস্টে তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।সাবেক সুইস এটর্নি জেনারেল ডেল পন্টি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তিন সদস্য বিশিষ্ট সিরীয় তদন্ত টিমে যোগ দেন। তদন্ত টিম রাসায়নিক অস্ত্র হামলা, ইরাকের ইয়াজিদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, বিভিন্ন কৌশল এবং ত্রাণ বহরের উপর বোমা হামলা বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। কমিশন মানবাধিকার লংঘন বিষয়ে নিয়মিত ভাবে রিপোর্ট দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের আবেদন কারো কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনি। যদিও জাতিসংঘ বিচারের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য একটি নতুন কমিশন গঠন করছে কিন্তু সিরিয়ার সাড়ে ছয় বছরের গৃহযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য কোনো আদালত প্রতিষ্ঠার এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। কিংবা বিষয়টি হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রেরণের কোনো ইচ্ছা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দেখা যাচ্ছে না।
কার্লা ডি পন্টি বলেন, ছয় বছর ধরে কমিশন যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চালিয়েছে। এখন একজন প্রসিকিউটর আমাদের কাজ অব্যাহত রাখতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের একটি বিশেষ আদালতে আনতে পারেন। কিন্তু আসলে রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়ে সব আটকে দিচ্ছে।
রাশিয়া আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র। কমিশন যুদ্ধে জড়িত কোন পক্ষের য্দ্ধুাপরাধ বিষয়ে প্রধানত তদন্ত করেছে জিজ্ঞেস করা হলে কার্লা বলেন, তারা সবাই যুদ্ধাপরাধ করেছে। তাই আমরা সবার বিষয়েই তদন্ত করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।