পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে আশুলিয়ায় এক বাউল শিল্পিকে গান গাওয়ার কথা বলে ডেকে এনে ঘরে আটকে রেখে রাতভর গণধর্ষন করেছে স্থানীয়রা। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক (৪২) ও আতাউর রহমান (৩৫) মিলন (১৬) ও খোরশেদ আলম (২৫)। এদের মধ্যে খোরশেদ ও মিলন পরষ্পর শ্যালক ও দুলাভাই।
আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, ৩২ বছর বয়সী ওই শিল্পী মাজারে মাজারে ঘুরে গান করে। মাস খানেক পূর্বে তার সাথে সেলিমা নামে আরেক নারী শিল্পীর পরিচয় হয়। এ সূত্র ধরেই একদিন সেলিমা তাকে মোবাইল করেন। মোবাইলে সে মেজভাই নামে একজনকে ধরিয়ে দেন। সে জানায়, আশুলিয়ায় একটি বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গান গাইতে হবে। এ অনুষ্ঠানে গান গাইতে সে চুক্তিবদ্ধ হন। ঘোষিত চুক্তি অনুযায়ী বুধবার বিকেল ৩টায় আশুলিয়া বাজার স্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নামলে তাকে রাকিবুল ইসলাম বাকু ওরফে মেজভাই নামে এক লোক তাকে রিসিভ করেন। সেখান থেকে তাকে রিক্সা যোগে আউকপাড়া মাজারগেট শহিদুল্লাহ দেওয়ানের বাড়িতে নিয়ে রাখে। সে বাড়িতে একজন মহিলা থাকতো। রাত ১০টায় সেখান থেকে পাশের বাড়িতে বিয়েতে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গান গাইতে নিয়ে মেজভাই সহ কয়েকজন রওয়ানা হন। পরে আউখপাড়া ‘খামার বাড়ি’ নিয়ে একটি কক্ষে পরে সে আসলে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০/১২ জন ব্যক্তি তাকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষন করে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়রা আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই খামার বাড়ির নিয়ন্ত্রনে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় মেয়েদের উত্যক্ত করতো। তাদের সেল্টার দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি। যারা ওই খামার বাড়িতে গিয়ে আমোদফুর্তি করেন।
ওসি আরো জানান, এঘটনায় ওই নারী শিল্পী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি গণধর্ষনের মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষনের সাথে জড়িত ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।