Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চ্যালেঞ্জের মুখে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শিশু ও নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সেবার ব্যবস্থা নেই

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ রিপোর্ট ২০১৬ প্রকাশ

| প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গড় আয়ু বৃদ্ধি, মাতৃমৃত্যু হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি লাভ হলেও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত এক্ষেত্রে শিশু ও নারীদের জন্য এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করা যায়নি। এমনকি এই রোগগুলোর নিয়ন্ত্রণে অবকাঠামোগত সুবিধা এবং রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ সেবার প্রস্তুতি নেই। ‘বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ রিপোর্ট ২০১৬’- তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
গতকাল ব্র্যাক সেন্টারে এই প্রতিবেদনের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা উপলক্ষে জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘অসংক্রামক রোগ এবং বাংলাদেশ : বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্দেশাবলী’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিন রাজ্জাক।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর জেন্ডার স্টাডি ক্লাস্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সিমিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফর উল্যাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ, যুক্তরাজ্য সরকারের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) ঢাকা অফিসের প্রধান জন এডমন্ডসন ও সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টকরপোরেশন (সিডা) বাংলাদেশ এর প্রধান আন্ডার্স ওসট্রোম, ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন ড. মোশতাক রাজা চৌধুরী প্রমুখ।
প্রতিবেদনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার আলোকে এই রোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে- অসংক্রামক রোগের সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা হিসেবে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত না করা, অকার্যকর নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং জাতীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাব, এই রোগের পর্যবেক্ষণে গ্রাম ও শহর ভিত্তিক সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তথ্য অন্তর্ভুক্ত কওে জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর তথ্যভান্ডার না থাকা ইত্যাদি
প্রতিবেদনটিতে এসকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় করণীয় হিসেবে প্রধানত পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- অসংক্রামক রোগের ব্যাপকতা ও গুরুত্বেও ওপর নীতিনির্ধারক, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি, রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন সেক্টরকে কেন্দ্র করে একটি সমন্বিত পদ্ধতির প্রবর্তন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জনশক্তি ও কাঠামোগতউন্নয়ন, ঝুঁকির কারণগুলো সংশোধন ও নিয়ন্ত্রণ, রোগ শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার মাধ্যমে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সকলপর্যায় শক্তিশালী করা, চারটি প্রধান অসংক্রামক রোগে রজন্য বর্তমানে চলমান এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচিসমূহ তদারকি ও পর্যালোচনার জন্য জাতীয় পর্যায়ে সামগ্রিক তত্ত¡বধান ব্যবস্থা এবং নিবন্ধীকরণ পদ্ধতি চালু, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার আলোকে দক্ষতার সঙ্গে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা (গবেষণা) করা। অনুষ্ঠানে আলোচকরা অসংক্রামক রোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি‘অনন্য কৌশলগত মাল্টি সেক্টর নীতিমালা’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারী

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ