নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : অনিশ্চয়তার সব মেঘ কেটে গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে অবশেষে ভারতে পা রাখতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। গতকাল বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছ থেকে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস পাওয়ার পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভারতে উড়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছে ইসলামাবাদ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শনিবার সকালেই ভারতে পৌঁছতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান বলেন, ‘আমরা আসলে ভারত সরকারের কাছ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাচ্ছিলাম। এত দিন এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আমরা ক্রিকেট দল (পুরুষ ও নারী) পাঠাতে পারছিলাম না।’ এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে। কেবল পাকিস্তানই নয়, ভারতের মাটিতে যে দলই খেলতে আসুক নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারে।’
বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলা টানাপোড়েন শেষে অবশেষে গতকাল শহিদ আফ্রিদিদের বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাওয়ার নিশ্চিত খবরটি জানায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেন, ‘পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিশ্চয়তা পাওয়ায় (আমাদের) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার অনমুতি দিয়েছেন।’
এর আগে নিরাপত্তা শঙ্কায় ধর্মশালা থেকে বিশ্বকাপের অতি আকাক্সিক্ষত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কলকাতায় সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি। আগেরদিন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নাসির আলি খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সরকারী পর্যায় থেকে আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেওয়া হলে আমরা পাকিস্তানি দলকে ভারত যাওয়ার অনুমতি দিতে পারি না।’
ভারতের বিপক্ষে ধর্মশালার ম্যাচটি ঘিরেই অনিশ্চয়তা ডালপালা মেলেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফিকশ্চার অনুযায়ী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি প্রথমে ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এই শহরের নিরাপত্তা-পরিস্থিতি কখনোই নিজেদের অনুকূলে ভাবেনি পাকিস্তান। বিশেষ করে হিমাচল প্রদেশের রাজ্য সরকার আলাদাভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে নিরাপত্তা দিতে রাজি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
পাকিস্তান সরকারের পাঠানো নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলও ধর্মশালাকে ‘অনিরাপদ’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে এই ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের শর্তের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ। পাকিস্তান স্পষ্টই জানিয়ে দেয়, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তন না হলে ভারত যাবে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের এই শর্তের মুখে বেশ দ্রæতই বদলে দেওয়া হয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মাঠ। আগামী ১৯ মার্চ ম্যাচটির নতুন পরিবর্তিত ভেন্যু এখন কলকাতা।
তবু অনিশ্চয়তা ছিল। পাকিস্তান সরকার ক্রিকেট দলের জন্য চাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। গতকাল বিকেলে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাসের পরপরই ভারতে দল পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে। এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত ব্যস্ত সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার বিশ্বের হাই ভোল্টেজ ক্রিকেট ম্যাচকে সুষ্ঠুভাবে করার লড়াই। এই ম্যাচ কলকাতায় এনে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আগেই। এবার ক্রিজে টিকে থেকে সিএবিকে সাফল্য এনে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। টিকিটের চাহিদাও তুঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।