রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে: পিচঢালা পথ পাল্টে দিয়েছে কুমিল্লার গ্রামীণ জনপদের চিত্র। খানা-খন্দক, ভাঙ্গাচোরা সড়কের মেরামত রক্ষণাবেক্ষণ আর এক হাঁটু কাদা ও ধুলোবালি ঘিরে থাকা কাচা সড়কও এখন ইট-পাথরের পিচঢালা। পল্লী সড়কের এ উন্নয়ন আজকে কুমিল্লার গ্রামীণ জনপদে কর্মসংস্থান, জীবিকা ও উন্নততর জীবনের অবলম্বন হয়ে উঠেছে। পল্লী সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের এ কাজটি অত্যন্ত সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে কুমিল্লা এলজিইডি। টেকসই উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের পথ ধরে জীবন জীবিকা আর যাতায়াতে অপরিসীম ভূমিকা রাখছে কুমিল্লা এলজিইডির নিবিড় তত্ত¡াবধানে বাস্তাবায়ন হওয়া পল্লী সড়কগুলো। এসব সড়কের সাথে পাল্টে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ জনপদে এলজিইডির তত্ত¡াবধানে নির্মান করা হয়েছে পাকা সড়ক। সড়কগুলো এখন কালো পিচঢালা। সড়কের দুইপাশে গাছগাছালি। কোথাও কোথাও দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। এখনো চলমান রয়েছে অনেক সড়কের কাজ ও রক্ষণাবেক্ষন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে কুমিল্লা এলজিইডি’র তত্ত¡াবধানে পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আদর্শ সদর উপজেলা, চৌদ্দগ্রাম, দেবীদ্বার, বরুড়া, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৫৮৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। একাজে ব্যয় ধরা হয় তিনশো পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা। তারমধ্যে ১৫২ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৯০ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ হওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বাকি সড়কগুলো। নতুন করে সড়ক উন্নয়নের বাইরেও পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেবীদ্বার, বরুড়া, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, দাউদকান্দি, সদর দক্ষিণ, আদর্শ সদর ও হোমনার বিভিন্ন গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ যেসব সড়ক চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছিল তার সিংহভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গ্রামের এসব পিচঢালা সড়কে এখন বেশ সাচ্ছন্দ্যে চলছে ছোট-বড়ো যানবাহন। শহরের সাথে গ্রামের উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠায় সিএনজি অটোরিকশার পাশাপাশি মিনিবাস সার্ভিসও চালু হয়েছে। উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার ষোল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এলজিইডি বাস্তবায়িত পল্লী সড়কগুলো বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায়। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় অসংখ্য ব্রীজ কালভার্ট নির্মানের পাশাপাশি প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার পল্লী সড়ক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছে কুমিল্লা এলজিইডি। একইভাবে সড়ক উন্নয়নকে টেকসই করার লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলায় প্রায় আঠারশো কিলোমিটার পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে।
জানতে চাইলে এলজিইডি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কান্তি পাল বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা রূপকল্প বাস্তবায়নের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান পল্লী ও নগর অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আজকে কুমিল্লার ষোলটি উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আরো অনেক কাজ বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন। এলজিইডি সারা দেশেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে কুমিল্লা এলজিইডি কাজ করে যাচ্ছে। এলজিইডির বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী মহোদয়ের দক্ষ নেতৃত্বে কুমিল্লা এলজিইডিকে আমরা মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।