পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে আট বছরে ৯০৭ শিক্ষক নিয়োগ, অনুগতদের নিয়োগ দিতেই অনিয়ম” শিরোনামে সংবাদ পড়ে আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন ও ভীষণভাবে হতাশ। বিভাগের নাম উল্লেখসহ এই প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের দৃষ্টান্তসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সাদা দল থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ করে আসা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন বরাবরই আমাদের প্রতিবাদকে উপেক্ষা করেছে। এর ফলে পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য সুনাম আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির প্রদত্ত এক আপিল রায়েও বিষয়টি উঠে এসেছে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ ভিসি প্যানেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ^দ্যিালয়কে নিয়ে যে সকল অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত, উৎকণ্ঠিত এবং চিন্তিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাণ। উপযুক্ত শিক্ষকের উপরই বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম নির্ভর করে। কিন্তু গত কয়েক বছরে শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে দলীয় আনুগত ব্যক্তিদের শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ফলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এক দীর্ঘস্থায়ী সংকটে পড়বে বলে আমাদের আশঙ্কা। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নূন্যতম যোগ্যতা পূরণ না করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া কেবল আইন বিরুদ্ধ নয়, নৈতিকতা পরিপন্থী এবং অমানবিকও বটে। অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দানের ফলে যোগ্য এবং সত্যিকার মেধাবী শিক্ষকদের মধ্যেও মর্ম যন্ত্রণা কাজ করে বলে আমাদের বিশ^াস। অন্যদিকে যে সকল মেধাবীরা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন তারা হতাশায় ভুগছেন, এমনকি অনেকে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন। এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
বিবৃতিদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে সাদা দলের আহŸায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, প্র্রফেসর ড. মো: আবদুর রশীদ, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার, প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, প্রফেসর মো. মাহফুজুল হক, প্রফেসর ড. মো. আসলাম হোসেন, প্রফেসর ড. হায়দার আলী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, প্রফেসর ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. লায়লা নূর ইসলাম, প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. এনামুল হক, প্রফেসর মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রফেসর আ কা ফিরোজ আহমদ, মোহাম্মদ সফিউল্যাহ, প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দীন খান, প্রফেসর মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবদুল আজিজ, প্রফেসর তাহমিনা আখতার, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল বাশার, প্রফেসর ড. শেখ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, প্রফেসর মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর আহমেদ জামাল আনোয়ার, প্রফেসর এ এস এম মহিউদ্দিন, প্রফেসর এ বি এম শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোঃ আবদুর রব, প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম, প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম ভ‚ইয়া, প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া, প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. সিরাজুল হক, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মো. রফিকুল ইসলাম, ড. নাসরিন সুলতানা, ড. মঈনুল ইসলাম, ড. মু আরিফুল হক, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ আবদুস সালাম, ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।