পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুর খুনি ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত খন্দকার মোশতাককে অসতর্কতা বশত ও অনিচ্ছাকৃত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড: মো: রহমতুল্লাহ।
সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে শ্রদ্ধার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং এটি ভুলবশত হয়েছে বলে জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আমি মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সরকারের কর্মপরিকল্পনা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক আহমদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি। আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক সমিতির নেতৃত্ব প্রদানকালে সর্বদা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ব্যানারে নিকট অতীতে সুনামগঞ্জের শাল্লা, কুমিল্লা ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে মৌলবাদী চক্র ও ঘোলাজলে মাছ শিকারি তথাকথিত রাজনৈতিক অপশক্তির অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিসহ জনমত গঠনে আমার ভূমিকা গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গতকালের আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ-বাক্য উচ্চারণ করে থাকি তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে মুজিবনগর দিবসের একটি আলোচনা সভায় তিনি খন্দকার মোশতাককে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয় আলোচনা ও সমালোচনা। ইতোমধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও শাস্তির দাবিতে ভিসিকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। সেখানে তারা অধ্যাপক ড. মো: রহমতুল্লাহর শাস্তির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।