Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গাভাস্কার-দ্রাবিড়-শেবাগের পর পুজারা

| প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রেকর্ড ব্যবধানে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে ঘুরে দাঁড়ানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের বেহাল দশা আর ইনজুরির তালিকায় দলের চৌদ্দতম সিমার যোগ হওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও সেই আহত সিংহকেই দেখা গেছে। তাদের বোলারদের তুলোধুনো করে গলে প্রথম দিনে ৩ উইকেটে ৩৯৯ রান তুলেছিল ভারত, এবার কলম্বোয় করল ৩ উইকেটে ৩৪৪।
রানের চূড়াটা স্বগতিকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান চেতস্বর পুজারা ও আজিঙ্কে রাহানে। দু’জনই অপরাজিত আছেন শতক হাঁকিয়ে। ২২৫ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১২৮ রানের পথে পুজারা ছুঁয়েছেন ৪ হাজার রানের মাইলফলক, সেটাও মাত্র ৫০ টেস্টে। গাভাস্কার, দ্রাবিড় ও শেবাগের পর তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০ টেস্টে এই মাইলফলকে পৌঁছালেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার। সব মিলে এটি তার ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক। লাঞ্চের আগে ছিলেন শান্ত-ধীর, করেন ৫৮ বলে ১৪। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ধারও বাড়তে থাকে ব্যাটে। চা বিরতির আগে তার পাশে ১৪০ বলে ৮৯। শেষ ৭০ রান করেন ৭১ বলে।
অসুস্থতা কাটিয়ে দলে ফেরা লোকেশ রাহুলের রান আউটে দ্বায় ছিল পুজারার। এজন্যই হয়তো ব্যাটটাকে আরো চওড়া করে ক্রিজে জেকে বসেছেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের আগে ছোট্ট একটা রেকর্ডের পাশে বসেছেন রাহুল (৫৭)। বিশ্বনাথ ও দ্রাবিড়ের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধো রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। এরপর অধিনায়ক কোহলিও (১৩) রঙ্গনা হেরাথের বলে ¯িøপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ দিলে ১ উইকেটে ১০৯ থেকে ভারতের স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ৩ উইকেটে ১৩৩।
লঙ্কানদের ক্ষনিক সুখের গল্পটা এরপর ধুসর থেকে ধুসরতর করে দেয় রাহানে-পুজারার অবিচ্ছিন্ন ২১১ রানের জুটি। রাহানেও ছিলেন তার নিজেস্ব ঢংয়ে। বিশেষ করে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট আসলেই যেন আরো চওড়া হাসি দেয় তার ব্যাট। ১৬৮ বলে ১০ চারে এই ডানহাতি অপরাজিত আছেন ১০৩ রানে। এ নিয়ে ৩৯ টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ শতকের ৫টিই করলেন সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে, সেটিও মাত্র ১৭ ইনিংসে। আগের টেস্টের নায়ক শেখর ধাওয়ান এদিনও শুরু করেছিলেন স্বভাবসূলভ স্টাইলে। কিন্তু তার ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটা এদিন লম্বা করতে দেননি দিলরুয়ান পেরেরা। বিধ্বংসী ওপেনারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন পেরেরা।
লঙ্কানদের ভাগ্যটা মন্দ বলতেই হয়। যার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল টস ভাগ্যের সময়ই। এসএসসির এই মাঠে আগের দশ টেস্টেই টস ভাগ্যে হেসেছিল লঙ্কানরা। এবার হাসলেন কোহলি। পরে চোট জর্জর স্বাগতিক শিবিরে যোগ হয় নুয়ান প্রদীপের নাম। দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নিয়ে মাত্র চার বল করেই তাকে মাঠ ছাড়তে হয় হ্যামিস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গাভাস্কার-দ্রাবিড়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ