পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মুন্নু গ্রæপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান দানবীর হারুনার রশিদ খান মুন্নু আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় মানিকগঞ্জের গিলন্ড মুন্নু সিটিতে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি..ওয়া ইন্না রাজিউন)।
মুত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মৃত্যুর খবর শুনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ জেলার হাজার হাজার মানুষ তার মরদেহ এক নজর দেখার জন্য ছুটে আসেন মুন্নু সিটিতে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে,তিন নাতিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও লাখো শুভানুদ্ধায়ী রেখে গেছেন। মুন্নুর মৃত্যুতে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি ৩ দিন ব্যাপী শোক দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দলীয় কার্যালয়ে কালো ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কোরানখানী, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, কালো ব্যাজ ধারন ইত্যাদি।
পারিবাকি সূত্র জানিয়েছেন, বিশিষ্ঠ শিল্পপতি হারুনার রশিদ খান মুন্নু বেশ কিছু দিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি উন্নত চিকিৎসার জন্য একাধিক বার সিংগ্পাুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সুস্থ্য হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসলেও তার শারিরিক অবস্থা মাঝে মধ্যেই অবনতি হয়ে পড়ে। গত ২২ জুলাই হারুনার রশিদ খান মুন্নুকে ভর্তি করা হয় ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে। সেখানে তিনি টানা ৯দিন চিকিৎসা শেষে সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জের মুন্নু সিটির বাসায় চলে আসেন। বাসায় কিছু সময় কাটানোর পর তাকে সন্ধ্যায় তার প্রতিষ্ঠিত মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর হঠাৎ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তার শারিরিক অবস্থা অবনতি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এসময় তার পাশে ছিলেন তার স্ত্রী হুরুন নাহার রশিদ।
এদিকে হারুনার রশিদ খান মুন্নু বড় মেয়ে মুন্নু গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান রিতা তার মেঝ ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে সে লন্ডনে রয়েছেন। বুধবার সে দেশে ফিরবেন। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন তার ছোট মেয়ে ফিরোজা পারভিন। এসময় তিনি বাবার পাশে দাড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
হারুনার রশিদ খঅন মুন্নুকে ঢাকারস বারডেম হাসপালের হিমঘরে রাখা হবে। বারডেম থেকে তার ধানমন্ডির বাসভনে নেয় হবে। সেখানে তাকে এক ঘন্টা রাখা হবে। তারপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত। সেখান থেকে জাতীয় সংসদভবনে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে ইষলামপুর মুন্নু সিরামিকে, তারপর মানিকগঞ্জের সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে, তার নিজ গ্রাম হরিরামপুরের পাটগ্রাম হাই স্কুল মাঠে এবং সর্বশেষ মুন্নু সিটিতে নিজের প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশি খান মুন্নু ১৯৯১ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে বিপূল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ৯৬ সালেও জয়ের ধারাবাহিতা ধরে রাখেন। মানিকগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠায় ২০০১ সালের নির্বাচনে এক সাথে মানিকগঞ্জ-২ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মন্ত্রীত্বও পান চার দলীয় জোটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।