Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়ে ৫০০ লোকের বিচার শুরু

| প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে গত বছরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার অভিযোগে প্রায় ৫০০ লোকের বিচার শুরু হয়েছে রাজধানী আঙ্কারার বাইরে বিশেষভাবে তৈরি এক আদালতে।
অভিযুক্তদের হাতকড়া পরা অবস্থায় বিচারের জন্য নিয়ে আসার সময় এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই অভ্যুত্থানে নিহতদের আত্মীয়স্বজন এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সমর্থকরা বন্দীদের উদ্দেশ্যে ধিক্কার দিতে থাকে। কেউ কেউ তাদের দিকে ফাঁসির দড়ি ছুঁড়ে মারে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে উৎখাতের লক্ষ্য নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি অংশ ওই অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেছিল- যা ব্যর্থ হবার পর দেশের প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী ও শিক্ষাখাতে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান চালায় সরকার। হাজার হাজার লোককে চাকরিচ্যুত করা হয়। জনাব এরদোগানের সরকার এ অভ্যুত্থানের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের উস্কানি ছিল বলে অভিযোগ করে, তবে জনাব গুলেন এ কথা অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের জুলাই মাসে ঘটা ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় অন্তত ২৪৯ জন নিহত হয়। ওই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সময় আঙ্কারার কাছে আকিনচি নামের একটি বিমান ঘাঁটিতে কী ঘটেছিল - সেটাই এই বিচারের মূল বিষয়।
অভিযোগে বলা হচ্ছে, ওই বিমান ঘাঁটি থেকেই অভ্যুত্থান পরিচালিত হয়েছিল, এবং তুরস্কের পার্লামেন্টের ওপর বোমা ফেলার নির্দেশও এখান থেকেই দেয়া হয়। এ মামলায় কয়েকজন অভিযুক্ত আছে যাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার হচ্ছে। এর মধ্যে জনাব গুলেনও আছেন। তুরস্কে কোন অভ্যুত্থানের ঘটনার এটাই সবচেয়ে বড় বিচার। অভিযুক্তদের অনেককেই যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হয়। তুরস্কে ২০০৪ সালে মৃত্যুদন্ড তুলে দেয়া হয়। তবে গতকাল বিচারের জন্য বন্দীদের নিয়ে যাবার সময় জনতার মধ্যে থেকে অনেকে মৃত্যুদন্ড ফিরিয়ে আনার পক্ষে সেøাগান দেন। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ