নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, ধর্মশালা (ভারত) থেকে : চেনা সাকিব, মুশফিকুর এখন অচেনা চেহারায়। এক সময়ে যাদের ব্যাটিংয়ের উপর ভরসা রাখতো পুরো দল, এখন ফর্ম হারিয়ে তারাই এখন দলের বোঝা! নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বোরেনের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচিং ডেলিভারীতে সাকিব দিয়ে এসেছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ। থেমেছেন মাত্র ৫ রানে। গুটেনের গুডলেন্থ বলে সেখানে ০ তে বোল্ড মুশফিকুর। মূলত: তাদের উইকেট বিলিয়ে দেয়ায় দায়িত্বটা বেশি নিতে হয়েছে তামীমকে। তামীমকে সেঞ্চুরির আশা ছেড়ে ব্যাট করতে হয়েছে সে কারণেই।
শুধু ওই ম্যাচটিই নয়। সর্বশেষ ক’ম্যাচে তাদের আউটটাই ফেলে দিচ্ছে দলকে চাপে। আউটের ধরনগুলোও বিচ্ছিরি। মিডল অর্ডারে এমন দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের এক সঙ্গে এতো লম্বা সময় বাজেভাবে কাটেনি অতীতে কখনো। এ বছর টি-২০ ক্রিকেটে ৮ ইনিংস মিলে মুশফিকুরের রানের সমস্টি মাত্র ৯০ রান (গড় ১৫.০০), সেখানে সাকিবের রান এ বছর ১০ ইনিংসে সর্বসাকূল্যে ১৩৬ (গড় ১৭.০০)!
এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩২ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে একটিও বলার মতো ইনিংস নেই সাকিবের। বরং ২ ম্যাচে তো রীতিমতো খলনায়ক এই বাঁ হাতি মিডল অর্ডার। আউটের ধরনগুলো এমনই যে, নিজের আউটে নিজের উপরই বিরক্ত, আউটে নিজের উপর বিতৃঞ্চা প্রকাশে আম্পায়ারদের সামনে বাজে অঙ্গ ভঙ্গিতে তিরস্কৃত পর্যন্ত হতে হয়েছে তাকে।
টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৫৩/৭ স্কোর করে ৮ রানে জিতেও তাই ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কোচ হাতুরুসিংহে। বিশেষ করে দলের সিনিয়র এই দুই ক্রিকেটারকে ইংগিত করেছেন তিনিÑ ‘আমাদের বোলাররা দারুণ করছে। তবে ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন আমি। ব্যাটসম্যানদের কাছে আমি রান দেখতে পছন্দ করি। কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে ভাবনায় পড়েছি।’
এক সময়ে দলের স্পট লাইটে থাকা সিনিয়র ক্রিকেটারদের জায়গাটা আস্তে আস্তে নিচ্ছেন জুনিয়ররা। তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বলেও জানিয়েছেন গতকাল হাতুরুসিংহেÑ ‘তবে আমাদের ভাগ্য ভাল, দলে নতুন যারাই আসছে, তারা দারুণ কিছু অবদান রাখছে। তাদের কারণেই অন্যদের উপর থেকে চাপটা চলে যাচ্ছে।’
সিনিয়রদের অব্যাহত অফ ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসার অপেক্ষায় এখন হাতুরুসিংহেÑ ‘তারা এখন যে খেলা খেলছে, তার চেয়ে ভাল খেলার সামর্থ তাদের আছে, তা আমরা জানি। দলে সব সময় ৭ ব্যাটসম্যান এক সঙ্গে জ্বলে উঠবে, তা সম্ভব নয়। আশা করছি যারা এখন ফর্মে নেই, তারা ফর্মে ফিরে দলের জন্য অবদান রাখবে। একটা গ্রæপের মতো ব্যাটসম্যানদের জ্বলে উঠতে হবে।’
সিনিয়রদের বাজে পারফরমেন্সে এতোটাই ক্ষুব্ধ যে, গতকাল ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনুশীলন মাঠে ঐচ্ছিক অনুশীলনে যখন দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার টীম হোটেলে কাটিয়েছে, নিয়েছে বিশ্রামÑ সেখানে হাতুরুসিংহে ধরে এনেছেন সাকিব, মুশফিকুরকে! নেটে লম্বা সময় ধরে চলেছে তাদের অনুশীলন! বাজে সময়ে এমন পরিণতিই তাহলে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।