Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মশালায় তিব্বতের স্বাধীনতার ডাক

প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্বকাপের ডায়েরী, শামীম চৌধুরী, ধর্মশালা (াভরত) থেকে : বিসিসিআই’র সেক্রেটারি বলে ধর্মশালাবাসীদের চমকে দিতে চেয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচ আয়োজনে ধর্মশালাকে বেছে নিয়ে আইসিসিকে পর্যন্ত রাজি করিয়েছিলেন। কিন্তু নিরিবিলি শান্ত শহরটিতে তিব্বতের স্বাধীনতাকামী জনতার আবাসস্থল, তিব্বতের স্বাধীনতাকামী জনতার আন্দোলনের নেতা দালাইলামাকে কেন্দ্র করে তাদের সব স্বপ্ন-সেই শহরটি হঠাৎই যেনো হয়ে উঠেছে আন্দোলনের নগরীতে। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি ধর্মশালা থেকে কোলকাতায় স্থানান্তর করেও শান্ত হতে পারছে না শহরটি। গতকাল রাজধানীর কোতোয়ালী বাজারের রাস্তাটি যেনো দখলেই ছিল তিব্বতের স্বাধীনতাকামী জনতার। ম্যাকলিডগঞ্জ থেকে পায়ে হেঁটে, পাহাড়ি পথ বেয়ে তিব্বতের স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতার মিছিল। মিছিলের ভাষাগুলো ‘থাকতে চাই না চীনের সঙ্গে, চাই স্বাধীনতা, তিব্বতের সুরক্ষা ভারত, দালাইলামা জিন্দাবাদ, রক্ত দিবো তবুও দিবো না মাটি’Ñআরো কত কী? যে পোশাকে দেখা যায় দালাইলামাকে, সেই পোশাকে অসংখ্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পোশাকেও ছিলো হাজারো জনতা। দ্রোহের ¯েøাগান হলেও তিব্বতের মানুষদের মিছিল চলাকালীন শৃঙ্খলা, উদ্দীপনা, দেশের প্রতি প্রতিজ্ঞা বিশেষভাবে চোখে পড়েছে।
প্রতিবছরই নাকি ১০ মার্চ এমন কর্মসূচি পালন করে থাকে তিব্বতের স্বাধীনতাকামীরা। ১৯৫৯ সাল থেকে এই দিনকে বেছে নিয়ে সারা বিশ্বে একই দিনে এই কর্মসূচি পালন করে থাকে তিব্বতীয় স্বাধীনতাকামীরা। এ মিছিল হয়। এটা তিব্বতের স্বাধীনতাকামী মানুষ প্রতিবছরই করে। তারিখটা ১০ মার্চ। চীনের বেধে দেওয়া বেস্টনি থেকে বেরিয়ে আসার বার্তাটাই দিয়েছে এই মিছিল। হিন্দি ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে পড়া এসব স্বাধীনতাকামী থাকতে চায় নাকি ভারতের সঙ্গে। তিব্বতের জাতীয় বিদ্রোহের দিন ১০ মার্চ। এ দিনেই তিব্বতের রাজধানী লাসায় বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। লাসা এখনো চীনের দখলে। ধর্মশালায় পড়েছে লাসার কিয়দাংশ। ওই দিন তিব্বতীদের ধর্মগুরু দালাইলামাকে কিডন্যাপের হুমকি দিয়েছিল চীন। দালাইলামাকে বাঁচাকে নাকি সেদিন ৩ লাখ তিব্বতীয় জড়ো হয়েছিল। ঘিরে রেখেছিল দালাইলামার বাসা। তখন অনেক সাধারণ তিব্বতি মারা গিয়েছিল চীনের আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে। তারপর থেকেই দিনটাকে নিজেদের বিদ্রোহের, স্বাধীনতার মঞ্চ হিসেবে পালন করে আসছে তিব্বত থেকে অভিভাসী হওয়া জনতা। ম্যাকলিডগঞ্জ থেকে এইসব স্বাধীনতাকামীদের মিছিল শেষ হয়েছে ধর্মশালার ব্যস্ত স্পট সিঙ্গিতে এসে। হিমালয় কন্যা হিমাচলের খুব কাছে তিব্বত, ধর্মশালার সকল স্থাপত্যে তিব্বতীয় তিব্বতীয় ভাব। ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিও তার ব্যতিক্রম নয়। শান্ত এই শহরই হঠাৎ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য হয়ে উঠেছে অনিরাপদ, সেখানেই তিব্বতীয় আন্দোলন। হবে না কেন, তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা দালাইলামা বাস্তুচ্যুত হয়ে যে এখন ধর্মশালায় পেয়েছেন ঠিকানা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্মশালায় তিব্বতের স্বাধীনতার ডাক
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ