Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নওয়াজের পদত্যাগ ও অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দ্রুততা : মনে হয় গণতন্ত্র রক্ষা পেল

উ প স ম্পা দ কী য়

| প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মোবায়েদুর রহমান : সপ্তাহের শুরুতে যেটা লিখতে চাই সেটি আর লেখা হয়ে ওঠে না। যেদিন লেখার দিন এসে যায় সেদিনের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে যায়। ফলে আমার টপিক বদলে যায়। আজকেও হয়েছে তাই। যা লিখতে চেয়েছিলাম সেটি আর লেখা হলো না। কারণ এর মধ্যে হঠাৎ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদত্যাগ করতে হলো। আদালতের রায় ঘোষণার ৪ ঘন্টার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ঘোষণা করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ পদত্যাগ করেছেন। এর পরেই যেটি নিয়ে জল্পনা কল্পনা হওয়ার কথা ছিল সেটি হলো, অতঃপর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন? কিন্তু দেখা গেল, জল্পনা-কল্পনা সেই পথে এগুলো না। এগুলো ভিন্ন পথে। বাংলাদেশের অনেক সংবাদ পত্রসহ এক শ্রেণীর পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলা হলো পাকিস্তানে কি গণতন্ত্র টিকবে? সেনাবাহিনী কি ক্ষমতা দখল করবে? আরো প্রশ্ন ওঠে, আদালত কেন এই ধরণের রায় দিল? আদালত কি কোন চাপে ছিল? এই রায় দানের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্র কি কলকাঠি নেড়েছে? এই ধরণের অনেক প্রশ্ন ।
সত্যি কথা বলতে কি, আমার কাছে এসব প্রশ্ন এবং জল্পনা কল্পনাকে অনাবশ্যক এবং অবান্তর মনে হয়েছে। রায়ের পেছনে অন্য কেউ ছিল কিনা সেটি জানা সম্ভব নয়। কিন্তু সাদা চোখে দেখা গেল, সুপ্রিম কোর্টের রায়টি সর্বসম্মত। ৫ জন বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন। কোনো নোট অব ডিসেন্ট নাই। নওয়াজ শরীফও আদালতের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং সন্মান দেখিয়েছেন। রায় সম্পর্কে তার মনে অনেক দুঃখ, ক্ষোভ এবং অভিমান রয়েছে। কিন্তু সে সবের বশবর্তী হয়ে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। প্রথমে আদালতের নির্দেশ মান্য করেছেন। তারপর তিনি তার ব্যক্তিগত অনুভ‚তি এবং মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি তার বিবেকের কাছে স্বচ্ছ রয়েছেন। আর এমন ‹মর্যাদাহানিকর আচরণ› পাওয়ার কথা কল্পনাও করেননি। অন্তত জাতিকে তিনি যা দিয়েছেন সে বিষয়টি স্বীকার করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, আমার সেবার জন্য আমি পুরস্কার বা সম্মান চাইনি। কিন্তু এ ধরনের অসম্মান প্রাপ্য ছিল না। শনিবার পাঞ্জাব হাউজে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্যদের সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের ২০ কোটি লোকের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধির প্রতি এ ধরনের আচরণ করা প্রত্যাশিত নয়।
বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই চাকুরীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো সরকারী অফিসারকে যদি বদলি করা হয় এবং সেই অফিসার যদি একটি রিপ্রেজেন্টেশন নিয়ে তার অফিস প্রধানের সাথে দেখা করে বদলির অর্ডার পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানান তাহলে অফিস প্রধান বলেন, আগে আপনি অর্ডার ক্যারি আউট করুন। তার পর আপনার রিপ্রেজেন্টেশন বিবেচনা করবো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করা হয়, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে করা হয় না। কিন্তু স্ট্যান্ডিং প্রসিডিউর হলো, ঙৎফবৎ সঁংঃ নব পধৎৎরবফ ড়ঁঃ ভরৎংঃ. নওয়াজ শরীফও আইনের প্রতি অনুগত একজন পলিটিশিয়ান হিসাবে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ পালন করেছেন। তিনি যদি হঠকারিতা করতেন তাহলে পাকিস্তানে গুরুতর রাজনৈতিক এবং শাসনতান্ত্রিক সংকট সৃষ্টি হতো। নওয়াজ শরীফ সেই সংকট সৃষ্টি হতে দেননি।
নওয়াজ শরীফ এবং তার দল পাকিস্তানে গণতন্ত্রকেও রক্ষা করেছেন। সামরিক শাসন জারি বা গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে, এই ধরণের গসিপ কেন সৃষ্টি হয়? পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যা হলো ৩৪২। এর মধ্যে নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগের রয়েছেন ২০৯ জন সদস্য। অর্থাৎ ৩৮ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে নওয়াজের দলের। অন্য কোনো অশুভ শক্তি যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য ক্ষিপ্র গতিতে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি হলেন শহিদ খাকান আব্বাসি। তিনি অবশ্য স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হবেন না। নওয়াজ শরীফ এবং তার অর্থমন্ত্রী এই দুই জনেরই সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়েছে। এই দুইটি পদে ৪৫ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন হবে। এই উপ নির্বাচনে শাহবাজ শরীফ প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। তিনি বর্তমানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নওয়াজ শরীফের আপন ছোট ভাই। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে শাহবাজ শরীফই হবেন পাকিস্তানের স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী। সেই স্থায়িত্বও এক বছরের বেশি হবেনা। কারণ আগামী বছরের এই সময় বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে এবং নতুন জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পটভ‚মিতে পাকিস্তানে এই মুহুর্তে গণতন্ত্রের সামনে হুমকি আসবে বলে আমি মনে করি না। সামরিক শাসন জারিরও কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছিনা।
\ দুই \
নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানের রাজনীতিতে একজন জনপ্রিয় নেতা। জনগণের ভোটে তিনি তিনবার পাকিস্তান পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। পাকিস্তানের জনগণের দুর্ভাগ্য যে, নির্বাচিত সরকারকে কোনোদিনই মেয়াদ পূর্ণ করতে দেওয়া হয়নি। এবারও তার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হলো। চার বছর আগে পাকিস্তানে যে নির্বাচন হয় সেটি ছিল সবচেয়ে স্বচ্ছ, সবচেয়ে অবাধ এবং সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন। মজার ব্যাপার হলো, এই যে আজ থেকে ৪ বছর আগে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রে একটি সংশোধনী এনে কেয়ারটেকার সরকার বা তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করা হয়। এখানে বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, এর বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের সংবিধানে ১৩ নম্বর সংশোধনী এনে কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা করা হয়। এ ব্যাপারে পাকিস্তান বাংলাদেশের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশে অতীতে কেয়ারটেকার সরকারসমূহের অধীনে যে সব নির্বাচন হয়েছে সেই সব নির্বাচনকে সবচেয়ে সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসাবে সারা পৃথিবী প্রশংসা করেছে। পাকিস্তানেও কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয় সেটিও সারা দুনিয়ায় সবচেয়ে সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ২০৯টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তারপর বিগত ৪ বছর সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশটি পরিচালিত হয় এবং এই ৪ বছরে বিপুল অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হয়। পাকিস্তানে রয়েছে পার্লামেন্টারি বহুদলীয় গণতন্ত্র। নওয়াজ শরীফ সেদিনও যেমন জনপ্রিয় ছিলেন এখনও জনপ্রিয় রয়েছেন। তবে জনপ্রিয়তা এবং ন্যায়বিচার সমার্থক নয়। তাই জনতার রায়ে তিনি ক্ষমতায় গেলেও আদালতের রায়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
ক্ষমতার মঞ্চ থেকে নওয়াজ শরীফের প্রস্থান পাকিস্তানের অব্যাহত গণতন্ত্রায়নে কোনো বিঘœ সৃষ্টি করবে কিনা সেটি বুঝতে হলে মানুষকে আরো কিছুুদন অপেক্ষা করতে হবে। তবে একথা ঠিক যে, পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য যে সব স্বৈরাচারী সাংবিধানিক ধারা ছিল এবং স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন তাদের পাখা নওয়াজ শরীফ ধীরে ধীরে ছাঁটাই করেছেন। এই সাথে আরেকটি বিষয়ও উল্লেখ না করলে আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায় সেটি হলো, আদালতের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাচ্যুতি এবারই প্রথম নয়। এর আগে যখন ইউসুফ রাজা গিলানী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনও সুপ্রিমকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী গিলানী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরী।
জেনারেল পারভেজ মোশারফ যখন সামরিক প্রেসিডেন্ট তখন তিনি ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অপসারণ করেন। কিন্তু ইফতেখার চৌধুরী এই অপসারণ মেনে নিতে পারেন নি। তখন জেনারেল মোশারফ তাকে জোর করে সরিয়ে দেন। এর প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিভিন্ন শহরে ইফতেখার চৌধুরীর সমর্থনে জনগণ মিছিল করে। এছাড়া বিষয়টি পাকিস্তানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে উত্থাপিত হলে জুডিশিয়াল কাউন্সিল অপসারণকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এর ফলে ইফতেখার মাহমুদ চৌধুরী সসম্মানে প্রধান বিচারপতি হিসাবে সুপ্রিমকোর্টে ফিরে যান। পাকিস্তানের ইতিহাসে আরেকজন স¦াধীনচেতা, তেজস্বী বিচারপতি পাওয়া যায়। তিনি হলেন মোহাম্মদ রুস্তম কায়ানী। তিনি বিচারপতি এম আর কায়ানী নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।
পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে হত্যা করার প্রথম কাজটি করা হয় প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে প্রকাশ্য জনসভায় হত্যার মাধ্যম। এর পর গণতন্ত্রের প্রতি সবচেয়ে বড় আঘাত আসে অবসর প্রাপ্ত আমলা গর্ভনর জেনারেল গোলাম মোহাম¥দের দ্বারা। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হন তারা স্বাধীন পাকিস্তানে গণ পরিষদ হিসাবে কাজ করেন। এই গণ পরিষদ একদিকে যেমন সংবিধান রচনার কাজে নিয়োজিত ছিল অন্যদিকে তেমনি সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের পার্লামেন্ট হিসাবে কাজ করতে থাকে। ১৯৫৪ সালে গর্ভনর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ পাকিস্তানে গণ পরিষদ ভেঙে দেন। তখন গণ পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন পূর্ব পাস্তিানের মৌলভী তমিজ উদ্দিন খান। মৌলভী তমিজ উদ্দিন খান গণ পরিষদ ভাঙার বিরুদ্ধে সিন্ধু হাইকোর্টে মামলা করেন। সিন্ধু হাইকোর্ট গণ পরিষদ ভাঙাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। তখন গোলাম মোহাম্মদ একাধিক বিচারপতিকে ডিঙিয়ে বিচারপতি মুনীরকে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেন। এর পর গোলাম মোহাম্মদ সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলে ‘ডকট্রিন অব নেসাসিটির’ দোহাই পেড়ে সুপ্রিমকোর্ট গণ পরিষদ ভাঙাকে বৈধতা দেয়। সেদিন থেকেই পাকিস্তানে গণতন্ত্র হোঁচট খেতে শুরু করে। অবশেষে ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে পাকিস্তানে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়।
ব্রিটিশের আইন এবং পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে গভর্নর জেনারেল এবং প্রেসিডেন্টকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তিনি জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দিতে পারতেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভা এবং প্রাদেশিক মন্ত্রী সভা বাতিল করতে পারতেন এবং কুখ্যাত ৯২(ক) ধারা জারি করে প্রদেশের ওপর প্রেসিডেন্টের শাসন জারি করতে পারতেন। রাষ্ট্র প্রধানের এসব ক্ষমতা বাতিল করার উদ্যোগ সর্ব প্রথম গ্রহণ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলী। কিন্তু জেনারেল আইয়ূব খানের সহযোগিতায় গোলাম মোহাম্মদ বগুড়ার মোহাম্মদ আলীকে বরখাস্ত করেন।
প্রথমে গভর্নর জেনারেল এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের যে স্বৈরাচারী ক্ষমতা ছিল সেই ক্ষমতার পালক অবশেষে ছাঁটাই করতে সক্ষম হন প্রধান মন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এব্যাপারে প্রথম কৃতিত্ব দিতে হয় পাকিস্তানের জনগণকে । কারণ তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দিয়ে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতায় পাঠিয়েছিল। নওয়াজ শরীফ জনগণের সে আশা পূরণ করতে পেরেছিলেন। এখন পাকিস্তানে গণতন্ত্র বাধাহীনভাবে এগিয়ে যায় কিনা সেটি দেখার জন্য এই উপমহাদেশে সকলেই ব্যাকুল আগ্রহ নিয়ে প্রতীক্ষা করছেন।
[email protected]



 

Show all comments
  • jannat ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    amader deshe jodi bichar bebostha arokom hoto
    Total Reply(0) Reply
  • লাভলু ১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:৫৭ পিএম says : 0
    পাকিস্তানে গণতন্ত্র বাধাহীনভাবে এগিয়ে যাক এটা আমরা কামনা করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নওয়াজ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ