নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী, ধর্মশালা (ভারত থেকে: বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো দুঃসংবাদ পেতে হলো কোচকে। নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারানোর আনন্দে ড্রেসিং রুমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠার কথা যেখানে কোচ, ম্যানেজারেরও, সেখানে ম্যানেজার খালেদ মেহমুদের কথা শুনে মাথায় হাত উঠল সবার। ম্যাচ রেফারি এন্ডি পাইক্রফট ডেকে নিয়েছিলেন খালেদ মেহমুদ সুজনকে। ২ ফিল্ড আম্পায়ার ভারতের সুন্দরম রবি এবং অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার পেস বোলার তাসকিন এবং বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নাকি সন্দেহ পোষণ করেছেন, এমন দুঃসংবাদটিই পেতে হলো ম্যানেজারকে !
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে এমন এক খবর শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কোচ হাতুরুসিংহে। তিনি নিজেই আম্পায়ারদের এমন সন্দেহের কারণ নিয়ে করেছেন সন্দেহ প্রকাশ Ñ‘আমাদের দু’জন বোলারকে নিয়ে আম্পায়াররা সংশয়ের কথা জানিয়েছে। ওদের অ্যাকশন রিপোর্টেড হয়েছে। আমরা আইসিসির প্রক্রিয়া মেনেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জন্য খবরটি ছিল বিস্ময়কর। কারণ সা¤প্রতিক সময়ে ওরা অনেক ক্রিকেট খেলেছে, প্রশ্ন ওঠেনি। যাহোক, আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি সংশয় জানিয়েছে। আমরা সেটা মেনে নিচ্ছি।’
সাধারণতঃ কারো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আম্পায়াররা সন্দেহ পোষণ করলে ম্যাচ রেফারি তাৎক্ষণিকভাবে তা জানিয়ে দেয় আইসিসিকে এবং মিডিয়া রিলিজের মাধ্যমে আইসিসি তা অবহিত করে, পরবর্তী করণীয়টাও দেয় জানিয়ে। অথচ, তাসকিন, আরাফাত সানির ক্ষেত্রে ঘটল উল্টোটা। গতকাল দুপুর সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলনের আগেও এই দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কোন রিপোর্টই জানানো হয়নি টীম ম্যানেজমেন্টকে। শুধুমাত্র সন্দেহ পোষণের কথাটি জানতো টীম ম্যানেজমেন্ট। রাত ৭টার দিকে আইসিসি এই দুই পেস বোলারের অ্যাকশনকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করেছে। এবং ৭ দিনের মধ্যে (শেষ সময়সীমা ১৬ মার্চ) চেন্নাইয়ে আইসিসি’র নির্দেশিত ল্যাবরেটরিতে এই দু’জনের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়া বাধ্যতামূলক, তা জানিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডের অবশিষ্ট ২ ম্যাচ খেলে ধর্মশালা থেকে দলছুট হয়ে চেন্নাইয়ের ফ্লাইট ধরতে হবে এই দুই বোলারকে। তবে, ল্যাবরেটরি পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্টে বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত এই দুই বোলারের বোলিংয়ের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা আসছে না।
আইসিসি’র এমন বার্তায় দল নিয়ে উদ্বিগ্নই হওয়ার কথা। সাম্প্রতিক সময়ে টীম বাংলাদেশের নুতন অভ্যুদয়ের পেছনে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণটাই যেখানে প্রধান শক্তি সেখানে এক সঙ্গে এই প্রথম ২ বোলারের বোলিং অ্যাকশন অতশী কাচের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় দলের কম্বিনেশনটাই না জানি বড় ধরনের ধাক্কা খায়, দলের উপর পড়ে বিরুপ প্রভাব। এটাই ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। বিশেষ করে এশিয়া কাপে ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে তাসকিনের বোলিং, এশিয়া কাপের শুরু থেকে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে দলের স্পট লাইটে উঠে আসা এই পেস বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষনের কোন কারনই খুঁজে পাচ্ছেন না কোচ হাতুরুসিংহেÑ‘আমি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলিনি। তবে তাদের বিষয়টা ভাবনার তো বটেই। তারা আমার বোলারদের নিয়ে সংশয় জানিয়েছে; আমার সংশয় আছে তাদের ভূমিকা নিয়ে।’
সর্বশেষ ৭ ম্যাচে ১৩৮টি ডেলিভারীর মধ্যে ৭৫টি ডট, টি-২০ ক্রিকেটে এমন বোলিং, ভাবা যায় ! ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে পর্যন্ত ৯টি ডট, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং বোলিং (৪-১-১৪-১), ২৪টি বলের মধ্যে ১৬টি ডট, টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ১৮ নম্বর ওভারে ৬ এবং শেষ ওভারে ৭ রানের বেশি খরচা করেনি যে বোলার, তাকে নিয়ে সন্দেহ পোষণ কেন?
সাধারণতঃ এমন ঘটনায় দলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে, এ শংকা করবে যে কেউ। তবে বাংলাদেশ কোচ হাতুরুসিংহে এমন কিছুর শংকা করছেন নাÑ ‘আমার মনে হয় না, আমরা যেভাবে খেলছি, তাতে এটা কোনো প্রভাব ফেলবে। ব্যাপারটা হলো ওরা এটাকে কিভাবে নিচ্ছে। এই ছেলে দুটি মানসিকভাবে অনেক শক্ত। ওরা জানে যে ওরা যা করছে ঠিকই করছে। আমাদেরও ওদের অ্যাকশন নিয়ে সংশয় নেই।’
এর আগে চেন্নাইয়ের ল্যাবটেরিতে পরীক্ষা দিয়ে উতরে গেছেন পেস বোলার আল আমিন। তাতেই ভরসা পাচ্ছেন। তবে সন্দেহতে থাকা তাসকিন, আরাফাত সানি রিপোর্টেড হয়েছেন, এখবরের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই দেখছেন না টীম ম্যানেজার খালেদ মেহমুদ সুজনÑ ‘সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে ল্যাবরেটরিতে। তার আগে তো ২টি ম্যাচ খেলতে তাদের কোন বাধা নেই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।