পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী বছরের মধ্যে শিল্পখাতে ৫০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জ্বালানি নিরাপত্তা ২০৩০: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী বছরের মধ্যে শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যের ধারাকে বেগবান করার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন মাত্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী শিল্প-কারখানা স্থাপনের আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে স্থাপিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ খাতের প্রধান উৎস হিসেবে পরিণত হবে। ২০১৯ সালে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। নিজস্ব কয়লা, গভীর সমুদ্রে কূপ খনন ও উৎপাদন প্রক্রিয়া কিছুটা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় সরকার তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, মায়ানমার হতে ক্রস-বর্ডার পাওয়ার ট্রেড-এর মাধ্যমে বিদ্যুৎআমদানি করা যেতে পারে। তিনি এ খাতের দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ স্থায়ীকমিটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জ্বালানি স্বল্পতা দূরীকরণে সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করছে। তিনি বলেন, সরকার বর্তমানে কয়লা হতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশে সোলার এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তামিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অপরিহার্য। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা ও উৎপাদন বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং তার ভিত্তিতে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি প্রতিবেশী দেশগুলো হতে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে জ্বালানি উৎপাদন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের জ্বালানির চাহিদাও দিনদিন বাড়ছে। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য আমাদের নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে কেননা বর্তমান মজুদকৃত জ্বালানি দিয়ে আমরা আগামী ৬-৮ বছর চলতে পারব। সেক্ষেত্রে আমাদের অফশোর এবং অনশোর উভয় পদ্ধতিতেই কূপ অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, কয়লাকে এখনও পর্যন্ত আমরা জ্বালানির অন্যতম বিকল্প উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারিনি। তিনি দেশের নিজস্ব মজুদকৃত কয়লা ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে ক্রস-বর্ডার পাওয়ার ট্রেড চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব ড. এম ফওজুল কবির খান মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন। মুক্ত আলোচনায় চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম খালেক ইকবাল, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান, আসিফ ইব্রাহীম,সাবেক পরিচালক খায়রুল মজিদ মাহমুদ, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক-এর কান্ট্রিডিরেক্টর আবরার আনোয়ার, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ঢাকা চেম্বারের আহবায়ক এম এসসিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।