পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমাদের রন্ধে রন্ধ্রে দুর্নীতি। দুর্নীতিতে আমরা সবাই নিমজ্জিত। সবাই যদি নিমজ্জিত না থাকত তাহলে দুর্নীতি হত না। তিনি বলেন, যাদের ক্ষমতা আছে তারাই দুর্নীতি করে। যদি এতে সবাই অংশ না নেয় তাহলে দুর্নীতি হয় কীভাবে? পরোক্ষভাবে আমরা সবাই দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত। পরিস্থিতি এখন এমন, যে অনেক সময় বাধ্য হয়ে দুর্নীতিতে জড়াতে হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হটলাইন ১০৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দুদককে জানানোর জন্য এ হটলাইন চালু করা হয়। দুদকের মিডিয়া সেন্টারে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় দুদকের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দেশে দুর্নীতির সংস্কৃতি আগে ছিল না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এটা একটা গোপনীয়তার মধ্যে ছিল। একটু শরমের বিষয় ছিল। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও যাদের সেবা প্রদানের ক্ষমতা রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্নীতি করেন। এ ক্ষেত্রে সেবা প্রত্যাশীদেরকেও পরোক্ষভাবে দুর্নীতিতে জড়ানো হচ্ছে। তবে সেবা প্রত্যাশীরা যদি সম্মিলিতভাবে এতে অংশগ্রহণ না করেন তা হলে দুর্নীতি করা কঠিন হয়ে যাবে। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, তদন্ত করবেন ভালো কথা। তবে জিহাদি হবেন না। জিহাদি হলে তদন্তের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। যে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ভালোভাবে তদন্ত করবেন। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার দুর্নীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, মনে রাখবেন পাবলিক সার্ভিসে যা যা করা প্রয়োজন তাই করবেন। সরকারি চাকরিতে বেতন কম বলে দুর্নীতি বাড়ার অভিযোগ ছিল এক সময়। এখন সেই পরিস্থিতি বদলেছে বলেই মনে করেন অর্থমন্ত্রী। সরকারি চাকরিজীবীদের আগে চিন্তুা করতে হত- কীভাবে দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা যায়। এখন কিন্তু বলা যেতে পারে সরকারি বেতন মানে সুন্দর জীবন যাপন। আমি আশাবাদী, আমার ধারণা, আট থেকে ১০ বছর পর আজকে যে দুর্নীতি, এই অবস্থার একটি পরিবর্তন আসবে। সাধারণ মানুষেরও অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। দুর্নীতি যে করতে হবে এই মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। আমরা যারা রক্ষক হিসেবে আছি, তারাই ভক্ষক হিসেবে অবতীর্ণ হয়ে আছি। এই প্রয়াস বন্ধ হওয়া চাই। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো আন্দোলন সংগ্রাম কখনও সফল হয়নি। যখনই কোনো সমস্যা এসেছে জনগণই সংগঠিত হয়ে তা সমাধান করছে। তিনি বলেন, কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন এর জনগণের সাথে কমিশনের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে দুর্নীতি ঘটার পূর্বে, ঘটার সময় এবং ঘটার পরেও অভিযোগ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমিশনের কর্মকর্তারা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করনে, তাই তাদের জন্য ঝুঁকিভাতা ও রেশন সুবিধা প্রদানের বিষয়টি তিনি অর্থমন্ত্রীর বিবেচনা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী পর্দা টেনে কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এর উদ্বোধন করেন। তিনি নিজে ১০৬ নম্বরে টেলিফোন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।