পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ছেলেদের তুলনায় পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এখানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরাই এগিয়ে রয়েছে। গতকাল রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবারের পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। এবারে ১০ বোর্ডের গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এবারের এইচএসসি ও সমামান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ছিল মোট ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৯০ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে মোট ৮ লাখ ১ হাজার ৭৭১ জন। গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর মধ্য ছাত্রীদের পাসের হার ৭০.৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৬৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। ডিআইবিএসসহ এবারের মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। এর মধ্যেও ছাত্রদের সংখ্যা ২০ হাজার ৫৩৫ জন। ছাত্রীরা জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৩৪ জন।
এবারের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডর অধীন শুধু এইচএসসি পরীক্ষার গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এবারের জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৩ হাজার ২৪২ জন। গতবার পেয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫০ জন। এখানেও পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-প প্রাপ্তদের সংখ্যা।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা ও কারিগরিতেও গতবারের চেয়ে ফল খারাপ হয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে এবার পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ বোর্ডে ১১ শতাংশের বেশি পাসের হার কমেছে। এখানে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৮১৫ জন। অন্যদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এখানে জিপিএ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৯ জন।
অবশ্য তুলনামূলক ফল খারাপে বিস্মিত নন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এসএসসির মতো এখানে নতুন পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ মে এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১২ লাখ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে মোবাইলে ফলাফল জানা যাবে। পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আজ ২৪ জুলাই থেকে আগামি ৩০ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আগের মতোই নির্ধারিত পদ্ধতিতে টেলিটক থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে হবে।
এইচএসসি ও সমামান পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়://িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফ.মড়া.নফ) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন। এ ছাড়া যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে ফলাফল জানতে পারবে। এজন্য ঐঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার ফলাফল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।