Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এএসপি মিজানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা-মনিরুল ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : এএসপি মিজানুর রহমানকে ছিনতাইকারীরা শ্বাসরোধ করেই হত্যা করেছে। গ্রেফতারকৃত শাহ আলম ওরফে বুড্ডা নামে এক ছিনতাইকারীর দেয়া স্বীকারোক্তি ও তদন্তে হত্যার প্রকৃত ঘটনা মিলে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শনিবার রাতে গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যায় জড়িত মো: শাহ আলম ওরফে বুড্ডা নামে এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি ও তদন্তে প্রাপ্ত আগের তথ্যে হত্যার প্রকৃত ঘটনা মিলে যায়। তাতে জানা যায় ঈদের আগে রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকায় হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তার কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে ভোরে রওনা হন। ওই দিন গত ২১ জুন ফজরের আজানের পর ৩ নম্বর সেক্টরের মসজিদের পাশে মিজানুর রহমান পৌঁছলে তারা তাকে যাত্রী সেজে ডেকে তাদের প্রাইভেটকারে ওঠায়। গ্রেফতারকৃত শাহ আলমের উদ্ধৃতি দিয়ে মনিরুল ইসলাম জানান, এএসপি মিজানুর রহমানকে গাড়িতে ওঠানোর পরই চালক জাকির খুব জোরে গাড়িতে গান বাজিয়ে, লাইট বন্ধ করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে জসীম উদ্দীন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং, পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। তখন গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু এএসপি মিজানুর রহমানের মাথায় লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করে। পরে তাদের মধ্যে অপর একজন এএসপি মিজানকে প্রাইভেটকারে থাকা ঝুট কাপড়ের টুকরা দিয়ে গলায় প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ছিনতাইকারীরা টহল পুলিশের ভয়ে প্রধান সড়ক ব্যবহার না করে ১০ নম্বর সেক্টর দিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছে। পরে তারা বিরুলিয়া ব্রিজের আগেই রাস্তার পাশে এএসপি মিজানকে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে গাড়িতে উঠে চলে যায়। তিনি আরো বলেন, এরা সাধারণত একজন যাত্রীকে টার্গেট করে গাড়িতে উঠিয়ে তাকে দুই পাশ দিয়ে চেপে ধরে কোনো কিছু দিয়ে হত্যা করে। সাধারণত তারা পুলিশ ও সাংবাদিক পেলে তাদের ছেড়ে দিলে বিপদ হতে পারে ভেবে হত্যা করে। এএসপি মিজানকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে তারা হত্যা করে। তিনি জানান, শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই গাড়িতে ছিনতাইকারী চক্রের চারজন ছিল। বাকি তিনজনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধারে পুলিশের অব্যাহত চেষ্টা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকার রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা একটি ঝোপে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ডিএমপির রূপনগর ও সাভার থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই দিন রাতে এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার। রূপনগর থানায় দায়ের করা মামলা নম্বর-১৯। ঢাকা মহানগর পুলিশের (পশ্চিম) বিভাগ মামলাটি তদন্ত করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছিনতাইকারী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ