পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহসিন রাজু , বগুড়া ব্যুরো : প্রায় দেড় যুগ পরে সেই হারানো রূপে ও ছন্দে ফিরেছে বর্ষা উত্তরে। তিস্তা, ধরলা, বৃহ্মপুত্র যমুনা, করতোয়াসহ প্রায় সব নদীতেই দেখা মিলেছে স্রোত, গতি ও ঢেউয়ের খেলা। সেই সাথে দেখা মিলেছে ৫০টিরও বেশি হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছের!’
মন্তব্য প্রকৃতি প্রেমীদের। বাস্তবেও তাই। ফারাক্কায় বাঁধ, অন্যান্য সব নদীতেই ডাইভারশন ক্যানেল বা স্পার, সøুইস গেইট অথবা কোনো না কোনো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশমুখী পানির প্রবাহ আটকানোর কারণে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে উত্তরে। ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর নামতে নামতে একবারে তলানিতে ঠেকেছে। সেই সাথে কমেছে বৃষ্টির পরিমাণ। ফলে বড় ছোট বা মাঝারি সব ধরনের নদ-নদী, খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। ফলে কমে গেছে দেশি মাছের প্রজনন বা প্রাকৃতিক বংশবিস্তার প্রক্রিয়া। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ যতই প্রসারিত হয়েছে, ততই হারাতে বসেছে দেশি মাছের জাত বা বংশ। শহর থেকে গ্রামীণ হাটবাজার সব জায়গাতেই এখন থাই পাঙ্গাস, সিলভার কার্পসহ হরেক প্রজাতির বিদেশি মাছ পাওয়া গেলেও কোথাও মিলে না দেশি জাতের কৈ, মাগুর, শিং , টেংরা , পুঁটি, ডাঁড়কে, চেলা, মওয়া, চ্যাং, শাটি (টাকি), শোল, বোয়াল, গজার, আইড়, বাঘাইড়, চেলা, পাবদা, চিতল, ফলই, রুই, কাতলা ইত্যাদি শত প্রজাতির দেশি মাছ। যেগুলোর জন্ম বেড়ে ওঠা কোনো কিছুর জন্যই প্রয়োজন হয় না। লাগেনা চড়া দামের বস্তাবন্দী খাবার।
খালে-বিলে, জলায়-নদীতে এসব মাছ প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ে বড় হয়ে একসময় মানুষের খাদ্য চাহিদা সুষ্ঠুভাবে মেটাত। উত্তরাঞ্চলের সব অঞ্চলেই এসব মাছ ছিল এতটাই সহজলভ্য যে, বলা হতো; মাছে-ভাতে বাঙালি।
কিন্তু বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার পাশাপাশি ভারত পানি আটকিয়ে বাংলাদেশ মুখি নদ-নদীর প্রবাহ ঘুরিয়ে দেয়ায় উত্তরাঞ্চল কার্যত মরুপ্রক্রিয়ার কবলে পড়ে মাছশূন্য হয়ে পরার উপক্রম হয়। প্রায়বিলুপ্ত হয়ে যায় অন্তত ৫০ প্রজাতির মাছ। কিন্তু চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চলনবিল, রক্তদহের বিলসহ উত্তরের বড় বড় বিল ও জলাশয়গুলো পানিতে টুইটম্বুর থাকায় সেই সাথে নদ-নদী-খালগুলোতেও পানির প্রবাহ থাকায় আবার সব জায়গাতেই দেখা মিলছে দেশি প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের। বর্ষার মাঝামাঝি হাটবাজারেও বিক্রির জন্য উঠছে এবার প্রচুর পরিমাণে দেশীয় জাতের প্রায় সব মাছ।
বিষয়টি আশাপ্রদ বলে সচেতন মহল এখনই মৎস্য বিভাগকে সক্রিয় হয়ে দেশি প্রজাতির মাছ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তুলে বলেছেন, সুযোগটা কাজে লাগাতে গড়িমসি করলে বিরাট হয়ে যাবে। কারণ আগামী বছরে বর্ষা ফের এরকম চেনা রূপে ফিরতে নাও পারে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।