এম. হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে : বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজে গুলিতে নিহত লিটু হত্যার ঝট খুঁলতে শুরু করেছে। লিটু প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়নি এমনটাই দাবি করেছেন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ।
তিনি বলেছেন, এজহার নামীয় যে কেউ তাকে গুলি করে হত্যা করতে পারে। পুলিশ এও নিশ্চিত হয়েছে পাইপ গান দিয়ে খুব কাছে থেকে গুলি করে লিটুকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টেও তার মাথায় কাতুর্জের স্প্রিন্টার পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছে। ঘটনার পর বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের হাতে আটক ৪ জনের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে পুলিশের ধারণা।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এতো কম সময়ের মধ্যেই সংঘঠিত হয়েছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই হত্যাকারীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল। ওসি’র মতে, বন্দুকের মিস ফায়ার হউক কিংবা অন্য কিছু হউক গুলিতে যেহেতু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাই বিষয়টিকে হত্যা হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে। থানায় হত্যা মামলাও রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করা নিজ পক্ষের কোনো কর্মীর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিটি করা হয়েছে। খুব কাছ থেকে গুলি করায় মাথার পেছনের খোলস ফেটে মগজ বেরিয়ে মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক পাভেল মাহমুদের গ্রæপের এক কর্মীর সাথে ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পল্লব গ্রæপের এক কর্মীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খালেদকে উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ জুলাই পর্যন্ত কলেজটিতে পাঠদান ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।