Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশের পেয়ারা এখন বাজারে

জমজমাট বেচাকেনায় খুশি চাষিরা

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম.এ মোহসীন, চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ও হাশিমপুর পাহাড়ী এলাকার পাহাড়ে উৎপাদিত মৌসুমী বাংলার আপেল খ্যাত চন্দনাইশের পেয়ারা এ সপ্তাহ থেকে বাজারে নামতে শুরু করেছে। দিন দিন পেয়ারা বাজার জমজমাট হয়ে উঠছে। উপজেলার রৌশন হাট, বাগিচা হাট, বাদামতলে প্রতিদিন সকালে পেয়ারা বাজার বসে। পেয়ারা চাষীরা চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ও হাশিমপুরে পাহাড়ে প্রতিবছর পেয়ারা চাষ করে আসছে। উৎপাদিত এসব পেয়ারা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন জেলা উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন চাষি ও বেপারিরা ট্রাকে ট্রাকে করে রপ্তানি করে। এতে করে ব্যাপারীরা পেয়ারা মৌসুমে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করে তাদের পরিবারের চাহিদা মিটায়। পেয়ারা ব্যবসা মৌসুমের খুশিতে আত্মহারা হয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর ব্যক্তিরা। পেয়ারা মৌসুমে পেয়ারা চাষী ও বেপারিরা ক্রেতাদের কাছে কেনাকাটা করে থাকে। পেয়ারা ব্যবসায়ী ফজলুল করিম ও মোঃ জসিম ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, পেয়ারা মৌসুমে তারা রৌশন হাট ও বাগিচা হাট থেকে পেয়ারা কিনে চট্টগ্রাম শহর সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার বেপারিদের কাছে বিক্রি করে যে অর্থ আয় করে তা দিয়ে তাদের পরিবারের অভাব অনটন কাটিয়ে উঠছে। অপরদিকে পেয়ারা চাষী মোঃ সেলিম ও মহিউদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে পেয়ারার ফুল ও কলি গাছ থেকে ঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। অপরদিকে দফায় দফায় বন্যায় ও পাহাড়ী ঢলের কারণে বাগানের পেয়ারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এ বছর অন্যান্য বছরের ন্যায় আশানুরূপ ফলন হবে দূরের কথা, আয়-ব্যয় পুষিয়ে আসতে পারি কিনা সন্দিহান। চন্দনাইশের পেয়ারা দেখিতে অতি লোভনীয় ও সুস্বাদু পুষ্টিকর একটি ফল। অপরদিকে পেয়ারা ক্রেতা সাঈদ, মাঈন জানান, চন্দনাইশের উৎপাদিত পেয়ারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে রৌশন হাট ও হাশিমপুর বাগিচা হাট দিয়ে যাতায়াত কারী অসংখ্যা যাত্রীরা নেমে কেনাকাটা করেন। পেয়ারা চাষীরা প্রতিদিন ভোর রাতে জেগে তাদের বাগানে গিয়ে পেয়ারা উত্তোলন করে লাল সালুতে একটি একটি করে আঠি বেধে কাঁদে ভার করে উক্ত প্রসিদ্ধ পেয়ারা বাজারে নিয়ে আসেন। এসব পেয়ারা বাজারে পেয়ারা কেনার জন্য পূর্ব থেকেই পেয়ারা ব্যবসায়ীদের ভীড় জমে। চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ হাশিমপুরের লর্ড এলাহাবাদ ও জামিরজুরী পাহাড়ী এলাকায় এসব পেয়ারা চাষ হয়ে থাকে। চাষীরা জানান, উর্ব্বরা শক্তির তারতম্য অনুসারে পেয়ারা সুস্বাদু হয়। উৎপাদিত এসব পেয়ারা উত্তোলন ও পেয়ারা এ থেকে টানা তিন মাস চলবে। মৌসুমের শুরুতেই পেয়ারা দাম চড়া। প্রতিভার অথবা লাল সালুতে ছড়ানো দুটি আঠির মূল্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি চলছে। তার ক্রমান্বয়ে বাজারে যতই পেয়ারা নামবে ততই বাজার বেশী জমবে। এতে করে পেয়ারার দাম ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ