পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড : সীতাকুন্ডে বর্ষার অন্যতম ফল ‘বাংলার আপেল’ খ্যাত লাল পেয়ারাকে কেন্দ্র করে উপজেলার হাটবাজারে ফলের ব্যবসা এখন জমজমাট। প্রায় প্রতিটি ফলের দোকানে অন্যসব ফলের সাথে বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এই পেয়ারা। বলাবাহুল্য, এতে স্থানীয় ক্রেতা যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে দুরাগত পাইকারদের আনাগোনা। ফলে ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কৃষকদেরও। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার লাল পেয়ারাকে ঘিরে হঠাৎই ফলের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফল ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সীতাকু-ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘লাল পেয়ারা’। সুদীর্ঘকাল ধরে উপজেলার বাড়বকু- ও মহাদেবপুর পাহাড়ে এ পেয়ারা ব্যাপক হারে চাষাবাদ করছেন কৃষকরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাভাবিকভাবে দেশের অন্যান্য স্থানে উৎপাদিত পেয়ারাগুলোর বাইরের রং সবুজ ও ভেতরে সাদা রং-এর কুসুম থাকে। আর সেসব পেয়ারার আকৃতি হয় কিছুটা বড়। কিন্তু সীতাকু-ের পাহাড়ে উৎপাদিত লাল পেয়ারা মূল বৈশিষ্ট হলো এই পেয়ারাগুলোর আকৃতি অন্য পেয়ারার চেয়ে ছোট। এর বাইরের রং সবুজ ও হালকা হলুদ হলেও ভেতরের কুসুমটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় লালছে গোলাপী রংয়ের। আর এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এ কারণে এলাকার কৃষকরা এই পেয়ারাকে ‘বাংলার আপেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।
কৃষিবিদদের মতে সীতাকু-ের লাল পেয়ারা শুধু সুস্বাদুই নয়। এর পুষ্টিগুণও অন্য পেয়ারার চেয়ে বেশি। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহকারী কৃষি ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ এ প্রতিবেদককে বলেন, অন্য সবুজ পেয়ারাগুলো শুধু ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হলেও সীতাকু-ের লাল পেয়ারায় ভিটামিন সি’র সাথে লাল কুসুমের কারণে ভিটামিন এ যুক্ত হয়েছে। বর্ষায় লাল পেয়ারা বাজারে আসার সাথে সাথে ফলের দোকানগুলোতে পেয়ারার বিক্রি বেড়ে যায়। ব্যতিক্রম হয়নি এবারো। সীতাকু- বাজারের এক পেয়ারা বিক্রেতা মো: সোলেমান এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারী দরে পেয়ারা কিনে তা প্রতিকেজি আকৃতি অনুসারে ৪০/৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ২/৩ মণ পেয়ারা বিক্রি হয়। এই দোকানী আরো বলেন, রোজার মাস পর্যন্ত আমের চাহিদা ছিলো বেশি। এখন অন্যান্য ফল থাকলেও পেয়ারার দিকে ক্রেতাদের আকর্ষণ একটু বেশিই।
জমজমাট বেচাকেনার কথা জানান, ভ্রাম্যমাণ লাল পেয়ারা বিক্রেতা মানিক ও সোহেলও। গতকাল সীতাকু- বাজারে বসে ক্রেতাদের কাছে পেয়ারা বিক্রি করতে করতে তারা বলেন, বর্ষার মৌসুমে যতদিন লাল পেয়ারা থাকে ততদিন অন্য ফল বিক্রির দরকার পড়ে না। শুধু পেয়ারা বিক্রি করেই সংসার চালানো যায়। তাই আমরা শুধু লাল পেয়ারা বিক্রি করছি। অন্যদিকে লাল পেয়ারা কিনতে আসা চট্টগ্রামের এক ক্রেতা জনার্ধন বলেন, সীতাকু-ের এই পেয়ারা সত্যিই ভালো লাগে। এটি আকারে কিছুটা ছোট হলেও খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই বর্ষাকালে সীতাকু-ে আসা যাওয়ার সময় তিনি এই পেয়ারা কিনতে ভুল করেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।