Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনাস্থা

| প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্রেট রাজনীতিকরা। এর পক্ষে তারা ৮৮টি কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, এসব কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনে অযোগ্য। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর দিয়েছে। এতে নিউ ইয়র্ক থেকে সাংবাদিক হ্যারি ককবার্ন লিখেছেন, প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট দলের হতাশ নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে রেজুলেশন দিয়েছেন। তাতে হোয়াইট হাউজে তার উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে রেজুলেশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য স্টিভ কোহেন। তবে তাদের এ রেজুলেশন পাস হওয়া বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনাস্থার মাধ্যমে অযোগ্য করে দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের দু’কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা। যদিও সেখানে এ প্রস্তাব পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম তবু প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিতর্কিত কর্মকাÐকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো। ওই রেজুলেশন বা প্রস্তাবে ডেমোক্রেটরা বলেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদ ধরে রাখার যোগ্য নন। তিনি শপথ নেয়ার অনুষ্ঠানে জনগণের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে বিতÐায় জড়িয়েছেন। নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ যেভাবে তিনি হস্তক্ষেপ করেছেন তাও তুলে ধরা হয়েছে ওই কারণ সমুহের মধ্যে। এতে তার ব্যবসায়ী কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মিডিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ঘন ঘন মিথ্যা খবর প্রচারের অভিযোগ আনেন। নারীদের বিরুদ্ধে তিনি নীতিগর্হিত আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন। প্রস্তাবে এসব কথা বলা হয়েছে। গত বুধবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্টিভ কোহেন। সেখানে তিনি বলেছেন, আমরা যে অবস্থান নিয়েছি এটা আমেরিকানদের কাছে একটি বেদনার দিন। ট্রাম্প হলেন এমন এক প্রেসিডেন্ট যা আপনারা চান না আপনাদের সন্তানরা প্রত্যক্ষ করুক। ওয়াশিংটনের ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তিনি যেভাবে কথা বলেন, নারীদের নিয়ে, মিডিয়াকে নিয়ে, তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেন, যে টুইট করেনÑ তার প্রেক্ষিতে তাকে আপনি একজন আদর্শ হিসেবে দেখতে চাইতে পারেন না। এটা আমাদের সংস্কৃতিতে একটি ক্ষত। আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এর পরে স্টিভ কোহেন তার প্রস্তাবে বেশ কিছু দাবি তুলেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার আয়কর রিটার্ন প্রকাশ করার আহŸান জানিয়েছেন। তার গোপন ব্যবসায়ী সম্পদের হিসাব প্রকাশ করতে বলেছেন। যথাযথ নয় এমন টুইটার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহŸান জানিয়েছেন। কোনো কথা না বলে স্বীকার করতে হবে যে, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টকে সমর্থন দিতে হবে। প্রকাশিত রিপোর্টকে মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ওদিকে দ্য হিল-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে স্টিভ কোহেন স্বীকার করে নিয়েছেন তার প্রস্তাব হয়তো প্রেসিডেন্টের ওপর সামান্যই প্রভাবও ফেলবে বলে মনে করেন না তিনি। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এতে কি তার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে? দৃশ্যত তার পরিবারের সদস্যরাই তো তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেন না। রিপাবলিকানরাও তাই। তার মন্ত্রীপরিষদও তাই। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

Show all comments
  • Urmi ২১ জুলাই, ২০১৭, ৩:১৬ এএম says : 0
    aro age kora uchit chilo
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ