পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি রেলওয়ের
বিশেষ সংবাদদাতা : বন্যায় সারাদেশে ট্রেন চলাচলে যাতে কোনো প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক গতকাল রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় রেলওয়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্ষাকালে বাংলাদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত, ঝড়ো আবহাওয়া, ঘুর্ণিঝড়, পাহাড় ধ্বস, বন্যাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা দেখা দেয়। এই সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে রেলপথ, সেতু, স্টেশন ভবন, প্লাটফরম, ছাউনি, ফুটওভার ব্রীজ, ঘুমটি ঘর, গেইট বেরিয়ার, সিগনাল কেবিন, সিগনাল পোল, টেলিকম ভবন, টেলিকম টাওয়ার, বিদ্যুৎ লাইন, বিদ্যুৎ সাবস্টেশন, ওয়ার্কশপ, লোকোসেড, ওয়াসপিট, টার্ন টেবিল, ব্যারাক, পাম্প হাউজ, গোডাউন ও অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ এবং ট্রেন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। এই সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি কমানো ও নিরাপদে ট্রেন পরিচালনার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য রেলওয়ের কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সদা প্রস্তুত। দুর্যোগ প্রতিরোধের উপযুক্ত হিসাবে সব ধরণের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। রেল লাইনের এর পাশ/নীচ দিয়ে প্রবাহমান জলাশয়ের পানির সহজ নাব্যতার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার অব্যাহত রয়েছে। বন্যা প্রবণ এলাকায় রেললাইন, ব্রিজ, কালভার্ট সার্বক্ষণিক পেট্রোলিং করা হয়। রেললাইনে গাছ-পালা ভেঙ্গে অবরোধ সৃষ্টি করলে তা দ্রæত অপসারণ করা হয়। খোয়া, পাথর, মালামাল বা জ্বালানী পরিবহনের জন্য ব্যালাস্ট ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়। জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য বাঁশ, চাটাই, রশি, স্টিল ওয়্যার, বালি, বোল্ডার, পলিব্যাগ, সিমেন্ট ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রি সংগ্রহ ও মজুত রাখা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোল অফিসে এবং সিআরবি (চট্টগ্রাম) ও রেলভবন (রাজশাহী) জোনাল কন্ট্রোল অফিসে অপারেটিং কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে জরুরী মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়।
মাঠ পর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ রেললাইন, ব্রীজ-কালভার্ট এবং নদ-নদীর পানির অবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে। তাদের কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে বিভাগীয় পর্যায়ে ট্রেন চলাচল সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রয়োজনে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চলমান ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়। বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হলে তা দ্রুত পুন:স্থাপনের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বন্যার পানির স্রোতে রেললাইনের উপর দিয়ে যাওয়া পিডিবি/আরইবির বৈদ্যুতিক খুটি/তার যাতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত না করে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়। সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের সেবা করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেখানেই মানুষ বিপদে পড়বে, সেখানেই আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হাজির হবেন। বন্যায় রেলওয়ের কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পানিতে ভৈরব ও আশুগঞ্জ রেল স্টেশনের কাছে মাটি সরে গিয়েছিল। এর বাইরে তেমন কিছু হয়নি। তিনি বলেন, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যার পর ফ্ল্যাড লেবেলের উপরে রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। সে কারণে সাধারণ বন্যায় রেলপথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।