নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, ধর্মশালা (ভারত) থেকে : ১৬তম ওভারে পিটার বোরেনের ক্যাচটি হাত থেকে ফসকে গেলে, সাকিবের ওই ওভার থেকে ১২ রান খরচা হলে ম্যাচটাই হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হতে বসেছিল। শেষ ২৪ বলে ৪২ রানের টার্গেটটা এই বুঝি পাড়ি দিচ্ছে নেদারল্যান্ডস, এমন শংকারই আলামত তখন ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তবে ম্যাচকে পর পর ২ ওভারে ফিরিয়ে এনেছেন মাশরাফি এবং তাসকিন, ১৭তম ওভারে মাশরাফির ছন্দ ফিরে পাওয়া বোলিংয়ে ৩ রানে ১ শিকার, ১৮তম ওভারে তাসকিনের উপর্যুপরি ইয়র্কারে ৬ রানের বেশি নেদারল্যান্ড পারেনি নিতে, ওই দুই ওভারকেই টার্নিং পয়েন্ট মানছেন ম্যাচ সেরা তামীম এবং ডাচ্ অধিনায়ক পিটার রোবেন। তামীম নিজের হার না মানা ৮৩ রানের ইনিংসের চেয়েও মাশরাফির ওই ওভারকে দিয়েছেন বাহাবা-‘ওই এক ওভারে যদি ওরা ১৫-১৬ রান নিত তাহলে ওদের জন্যে জয়টা পাওয়া সহজ হয়ে যেত। যেভাবে মাশরাফি ভাই, আল-আমিন, তাসকিন বোলিং করেছেন, তাতে যতই বেশি বলি না কেন, ততই কম বলা হবে। অন্য দলকে স্পিন অ্যাটাক দিয়ে আউট করার চেষ্টা করি, সবারই ধারণা তা। তা ছাড়া নেদারল্যান্ডস ব্যাটসম্যানরা ফাস্ট বোলিং ভালোই খেলেন। কিন্তু মাশরাফি ভাই’র এক ওভারেই সবকিছু চেঞ্জ হয়েছে। উনি গত ১৫ বছর ধরে উনি এটাই করে দেখাচ্ছেন।’ বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ হিসেবে মাশরাফির ওভারকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন ডাচ্ অধিনায়ক পিটার বেরেন-‘আমরা এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়েছিলাম, যেখানে ওই ৪ ওভারে টার্গেট পাড়ি দিয়ে জিতব, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। কারণ, ওই সময়ে ওভার প্রতি ৪ করে দরকার ছিল। কিন্তু ১৭তম ওভারে মাশরাফি আমাদেরকে মেরে ফেলল। এর কৃতিত্ব অবশ্যই বাংলাদেশ বোলারদেরকে দিতে হবে। তাসকিন ওই সময়ে মাত্র একটি ডেলিভারি ইয়র্কার দিতে পারেনি।’ ১৭তম ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্বটা নিজে নেয়ার কারণটা জানিয়েছেন মাশরাফি-‘ম্যাচ জয় সব সময়ই স্বস্তির, প্রতিপক্ষ যে-ই হোক। তামীম ও বোলারদের পারফরম্যান্স দারুণ ছিল। আমার মনে হয়েছিল আমারই বোলিং করা উচিত। একবার ভেবেছিলাম যে আল আমিন বা সানিকে দেব কি-না। পরে ভেবেছি না আমারই করা উচিত। ৪ ওভারে ৪২ লাগবে যখন, মনে হচ্ছিল এই ওভারটা গুরুত্বপূর্ণ খুব হবে। এই ওভারে ৬-৭ এমনকি ৮ রান দিলেও তাতে ভালো কিছু হবে। আমরা চেয়ছিলাম যেনো শেষ ওভারে ১৫ থেকে ২০ রানের মধ্যে ওদেরকে টার্গেট দিতে পারি। সেই পরিকল্পনায় আমরা সফল হয়েছে। ওই ওভারটা করার সময় আমার মনে হচ্ছিলো আমার করাই বেটার। কারণ আমি উইকেট রিড করতে পারছিলাম তখন।’ ১৮ এবং ২০তম-এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ওভারে তাসকিনকে ব্যবহার করে হয়েছেন সফল। ওই ২ ওভারে ১৩’র বেশি খরচ করেননি বাংলাদেশের সবচেয়ে গতির বোলার, তার কৃতিত্বও দিয়েছেন মাশরাফি-‘আমি তাসকিনকে দুটি দিয়েছি কারণ ও খুব ভালো বোলিং করছে। আসলে শেষ ৩ ওভারে এসে হতে পারত যেকোনো কিছুই। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল তাসকিনকে নিয়ে।’ ধর্মশালার কন্ডিশনে উইকেট নিয়ে দুর্ভাবনা কেটে গেছে, সে উপলদ্ধি এখন মাশরাফির। ম্যাচ জয়ে তামীমের ইনিংসকেও দিয়েছেন তিনি কৃতিত্ব-‘তামীম যেভাবে ব্যাট করেছে, তা অসাধারণ। ভেবেছিলাম উইকেট দ্রুতগতির বাউন্সি হবে। কিন্তু দেখলাম উইকেট মন্থর, শট খেলা খুব কঠিন। আমরা যে ভাবনা নিয়ে এসেছিলাম, এখানে এসে যা দেখেছি, আজকের পরিস্থিতি তার চেয়ে আলাদা ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।