পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বসফরাস সেতুতে জমায়েত সমর্থকদের উদ্দেশে আবেগময়ী ভাষণে এরদোগান
ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টাকারীদের মাথা কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিব এরদোগান। গত শনিবার ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার প্রথম বর্ষপূর্তিতে সমর্থকদের উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে এরদোগান এ হুঁশিয়ারি দেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ই জুলাই তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশকে রাজপথে ট্যাংক নিয়ে এবং আকাশপথে যুদ্ধবিমান নিয়ে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। ওই দিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে আড়াইশ’ মানুষ নিহত হন। কথিত সেই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা সফল হয়নি। অভ্যুত্থানকারীরা জনতার কাছে হেরে যায়। আটক করা হয় অসংখ্য মানুষকে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় হাজার হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারীকে। দিনটিকে উদযাপন করতে ১৫ জুলাইকে গণতন্ত্র ও ঐক্য ঘোষণা দিয়ে তুরস্কে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। দিনভর আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুান। ইস্তাম্বুলের রাস্তাগুলোতে টানানো হয় বিশাল বিশাল বিলবোর্ড-পোস্টার। পোস্টারগুলোতে অভ্যুত্থানবিরোধী জনগণকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে দেখা যায়। দিনটি উপলক্ষে শনিবার রাজধানী আঙ্কারায় এরদোগান সমর্থকরা র্যালি করেন। এদিন বসফরাস সেতুতে জমায়েত হওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন এরদোগান। এ সেতুতেই জনগণ অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারী বিদ্রোহী সেনাদের মোকাবিলা করেছিল। আর ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর সেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে জুলাই ফিফটিন মার্টায়ারস ব্রিজ। ভাষণে এরদোগান অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকারীদের শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে বলেন, সবার আগে আমরা ওই বিশ্বাসঘাতকদের মাথা কেটে ফেলব। মৃত্যুদন্ডের বিধান পুনর্বহাল করতে যেকোনও বিলে স্বাক্ষর করার কথাটিও পুনরুচ্চারিত করেন তিনি। এরদোগান বলেন, আমাদের রাষ্ট্রটি আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত। পার্লামেন্ট হয়ে আমার কাছে যদি বিলটি আসে তবে আমি তাতে স্বাক্ষর করব। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, মৃত্যুদন্ড পুনর্বহাল করা হলে তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ পাওয়ার আশা জলাঞ্জলি দিতে হবে। গত বছরের ১৫ জুলাই অভ্যুত্থান-প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়া ওইসব সেনাদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেয় প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সমর্থকরা। তারা রাজপথে নেমে পড়ে। নিজেরা সংগঠিত হয়ে ট্যাংকের সামনে দাঁড়ায়। এতে অভ্যুত্থানকারীরা থমকে যায়। তাদেরকে আটক করা হয়। এখনও চলছে এর বিচার কার্যক্রম। আনাদুলো, বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।