ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘ভন্ডামি’র অভিযোগ এনে বলেছেন -তারা সেদিন অভ্যুত্থানের ফল কী হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মি. এরদোগান বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য কোনভাবেই এটাকে ঢেকে রাখার উপায় নেই যে, সেদিন তারা তুরস্কের সাথে তাদের বন্ধুত্বকে প্রতারণা করে ‘অভ্যুত্থানের ফল কী হয়’ এটা দেখার জন্য বসে ছিল।
জনাব এরদোয়ান ওই অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে গণগ্রেফতার এবং শুদ্ধ অভিযান চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গ্রেফতার করা হয় ৫০ হাজার লোককে। গ্রেফতার হন অন্তত ১৩০ জন সাংবাদিক।
সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় ৭ হাজার জনকে। এ ছাড়াও চাকরি হারান ১ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষাবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের এই দিনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনীর একটি অংশ বড় শহরগুলোর রাস্তায় অস্ত্র এবং ট্যাঙ্কসহ নেমে পড়ে এবং পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন সরকারী ভবনে হামলা চালাতে থাকে। তুরস্কের ওই অভ্যুত্থানে নিহত হয় কমপক্ষে ২৬০ জন, আহত হয় ২ হাজার ১৯৬ জন। অনেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর পরও জনগণের প্রতিরোধের মুখে সেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। জনাব এরদোয়ান বলেন, ওই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়াটা ছিল গণতন্ত্রের ইতিহাসে মোড়বদলকারী ঘটনা। সেই রাতের পর প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জনপ্রিয়তা আরো অনেক বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু অভ্যুত্থানের পর ব্যাপকহারে ধরপাকড় নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয় এবং এ নিয়ে সমালোচনা এখনো চলছে। তুরস্কে এর আগে চারটি অভ্যুত্থান হয়েছে, প্রথমটি ১৯৬০ সালে, এরপর ১৯৭১, ১৯৮০ ও ১৯৯৭ সালে আরো তিনটি অভ্যুত্থান হয়। সূত্র : বিবিসি।