গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনার তেরখাদার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: শেখ আবদুল্লাহেল মামুনকে ঘুষি মেরে দাঁত ফেলে দেয়ার মামলার আসামি আওয়ামী লীগের চার নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। গতকাল (বুধবার) দুপুরে তেরখাদা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আরা রহমান এ আদেশ দেন। পুলিশের সূত্র জানায়, তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: শেখ আবদুল্লাহেল মামুনকে মারধর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তৌহিদ ফকির, নান্নু শেখ, মিরাজ শেখ ও অলিয়ার শেখ তেরখাদা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আরা রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। আসামিরা তেরখাদা উপজেলা সদরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। খুলনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা ওসি ত ম রোকনুজ্জামান বলেন, এজাহারভুক্ত চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
এদিকে, চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও মামলার প্রধান আসামি তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা না করায় ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত অবস্থায় তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামানসহ তার সঙ্গীরা মেডিকেল অফিসার ডা: শেখ আবদুল্লাহেল মামুনকে মারধর করে। একপর্যায়ে অহিদুজ্জামানের ঘুষিতে ডাক্তারের দু’টি দাঁত পড়ে যায়। এ ঘটনায় ডা: মামুন বাদি হয়ে অহিদুজ্জামানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।