Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জ্বালানি তেলের মূল্য সমম্বয় করা হোক
বর্তমানে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক আগে থেকে কমলেও আমাদের দেশে তা কমছে না। বরং জ্বালানি তেলে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের দাম ৩০ ডলারে নেমে আসে, যা বিগত ১০ বছরের মধ্যেসর্বনিম্ন। বর্তমানে জ্বালানি তেলে দাম ৩০-৪০ ডলারে ওঠা-নামা করছে। প্রতিব্যারেল অর্থাৎ ১৫৯ লিটারের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পড়ে ৪০ ডলার মাত্র। বাপেক্স বর্তমানে লাভের মধ্যে আছে। সরকার বলছে আরো ৬ মাস আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষক করে তার পর সিদ্ধান্ত নেবে। জ্বালানি তেলের দাম কমালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমবে এবং এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়াও কমবে। জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক বলেছে আগামী ২০২০ সালের আগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তাই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের গণশুনানির মাধ্যমে অবিলম্বে জ্বালানি তেলে মূল্য সমম্বয় করা হোক। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
মো. মোফাখখরুল ইবনে করিম
২ সড়ক ও জনপথ স্টাফ কোয়ার্টার
কাঁচিঝুলি, ময়মনসিংহ-২২০০।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবার মান
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে জানা যায়, বর্তমান প্রতি মাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নেন। মা ও শিশু স্বাস্থসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিকেই সরবরাহ করা হয়েছে ল্যাপটপ। ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোই হবে সাধারণ মানুষের জন্য ভরসার জায়গা। কিন্তু আর্থিক ও ওষুধ সংকটসহ মনিটরিংয়ের অভাবে এই স্বাস্থ্যসেবা মারত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি যুগান্তকরী পদক্ষেপ অবশ্যই। কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো স্বাস্থ্যব্যবস্থা এ দেশের মাটিতে স্থায়ী হোকÑ সেটি সকলের প্রত্যাশা।
অমিত বণিক, বাঁধন বণিক
কিশোরগঞ্জ।

ময়মনসিংহে ইমাম প্রশিক্ষণ
একাডেমি কবে হবে?
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার-প্রসারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ সেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি বিশাল বটবৃক্ষ। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সেই বৃক্ষের একটি ডাল। দেশের তিন লাখ মসজিদের প্রায় সাত লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে এখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তাকে উপলবিব্ধ করেই নব্বই দশকে দাবি উঠেছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের। দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি একডেমি হয়নি। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে উন্নীত হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরেই ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে। তাই ময়মনসিংহ ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনে আশু ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জাফর ইকবাল
উলুকান্দা, পূর্বধলা, ময়মনসিংহ।

জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল
জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাকরি থেকে শুরু করে ব্যাংক, বীমা, পাসপোর্ট, ভিসা ইত্যাদি যে কোন কাজেই ব্যবহৃত হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। এমন কী বর্তমানে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে মা অথবা বাবার পরিচয়পত্র দিয়ে শনাক্ত করতে হয়। কয়েক বছর পরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে তৈরি করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু এসব জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য হালনাগাদের জন্য যেসব কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, তাদের মধ্যে অধিকাংশই এসব বিষয়ে দক্ষ নয়। এ কারণে বেশিরভাগ পরিচয়পত্রে ভুল দেখা দেখা যায়। কারো নাম, কারো বাব-মায়ের নাম আর কারো জন্ম তারিখে ভুল। হালনাগাদের সময় সঠিক নাম-ঠিকানা লিখতে সুবিধায় জন্য ফরমের সঙ্গে জন্ম সনদ ও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সনদ সংযুক্ত করার পরেও নাম ও জন্ম তারিখ ভুল হবেÑ এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিচয়পত্র তৈরিতে যাতে ভুল না হয় সেদিকে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকবে এবং পরিচয়পত্র তৈরিতে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে বলে আশাকরি।
মো. নিজাম উদ্দিন
ইংরেজি অনার্স (১ম বর্ষ)
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার।

বেসমেন্টে দোকান এবং রোগীর গাড়িতে রেকার
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর (পূর্ব থানার পাশে) কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাবারের হোটেল চলছে। সোনারগাঁও জনপথে ১১ নম্বর বাড়িতে মেডিনোভা ডায়গনস্টিক সেন্টার, যার বেসমেন্ট রয়েছে হরেক রকম গাড়ি পাকিং ব্যবস্থায় পরিবর্তে দোকনপাট, হোটেল ও ফাস্টফুডের রমরামা বাণিজ্য চলছে। ফলে রোগীদের গাড়িতে পুলিশের রেকার লাগানোর ফলে রোগী ও তার সঙ্গে আসা লোকজনদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বাণিজ্যিক ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ি রাখার পরিবর্তে সেখানে দোকান গড়ে তোলায় তীব্র সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টির প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. মামুন
সড়ক সি ৭, বাড়ি ১০, সেক্টর ৯, উত্তরা, ঢাকা।

হাতিরঝিলে ট্যুরিস্ট বাস
রাজধানীর হাতিরঝিলে নামেই ‘ট্যুরিস্ট বাস’। আসলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে হয়তো রাজউক অথবা এর বাইরে কতিপয় ব্যক্তি লাভজনক বিবেচনা করে পরিবহন ব্যবসা করছেন হাতিরঝিল এলাকার সড়কে। সড়কটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং রাষ্ট্রীয় অর্থে নির্মাণ করেছে জাতীয় গৌরবের প্রতিষ্ঠান সামরিক বাহিনীর প্রকৌশলী কোর। রাজধানীর সঙ্কটাকীর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্কট কিছুটা কমিয়ে আনতেই এই সড়ক নির্মাণ। বিশাল জনবসতিপূর্ণ বৃহত্তর রামপুরা-বাড্ডা এলাকার নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই সড়কে গণপরিবহন বা সাব সার্ভিস চালু করা জরুরি। সে দায়িত্বশীল কাজটি করার জন্য সর্বোচ্চ উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিআরটিসি যার বহু নতুন গাড়ি ডিপোতে নিশ্চল পড়ে আছে। ৬ থেকে ৮ খানা নতুন দোতলা বা একতলা বাস এখানে পরিচালনা করা হলে যেমন লাভজনক হবে তেমনি বিশাল এলাকার হাজার হাজার কর্মজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নাগরিকদের খুব সুবিধা হবে।
মুহ. আরিফ-উদ-দৌলা
২১৯/এ, রোড-৪, ব্লক-ডি
বনশ্রী আবাসিক এলাকা, ঢাকা ১২১৯

সড়কের লাশের মিছিল
প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। বেঘোরে প্রাণ বির্জন হচ্ছে। সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছেন কেউ কেউ। সড়ক দুর্ঘটনার রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না। কিন্তু সতর্কতার বিকল্প নেই। গত ৯ জানুয়ারি ঘটে গেল বঙ্গবন্ধু সেতুতে সিরিজ দুর্ঘটনা। ১ ঘণ্টার মধ্যে সাতটি দুর্ঘটনা। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে যানবাহন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত যাত্রী কল্যাণ সমিতির বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সাড়ে আট হাজার, আহত হয়েছে ২১ হাজার ৮৫৫ জন। সড়কে লাশের মিছিল প্রলম্বিত হচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ যান, অদক্ষ চালক, অপ্রশস্ত রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালনা, সিগনাল আইন অমান্য করা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, যাত্রীদের অসতর্কতা ও ফুটপাত দখলসহ বিভিন্ন কারণে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়কে সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতা ও সচেতনতা দ্বারাই সড়ক দুঘর্টনা  কমিয়ে আনা সম্ভব। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে উল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি সতর্ক হওয়ার এখনই সময়। সড়কে লাশের মিছিল আর প্রলম্বিত নয়। সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতিরোধে চাই সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। চলুন সবাই এগিয়ে যাই। নিরাপদ সড়ক বানাই।
শ্যামল চৌধুরী
মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন