Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিউইয়র্কের মুসলমানদের চিরনিদ্রার জায়গা পাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নিউইয়র্কে ৬ থেকে ১০ লাখ মুসলিমের বাস হলেও তাদের জন্য কোনো কবরস্থান নেই। নিউজার্সির স্টেট মেমোরিয়াল পার্ক সেমিট্রিসহ দু’একটি সমাধিক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য অল্পস্বল্প যে জায়গা আছে, সেখানে লাশ দাফনে ৬ হাজার থেকে ১৪ হাজার ডলার গুনতে হয়। তাই বেশিরভাগ মুসলিমকেই খুঁজতে হয় বিকল্প উপায়। নিউইয়র্কে ইসলামি বিধানানুসারে দাফনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ফিলিস্তিনি আমেরিকান নাগরিক নুরুদ্দিন আবু ইব্রাহিম বলেন, মৃত্যু অনিবার্য বাস্তবতা। কিন্তু লাশ দাফন করার বিষয়টি কারও জন্য এতটা জটিল, এতটা ব্যয়বহুল হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, আমাদের এখানে মরার সামর্থ্য নেই। আমরা যাতে নিজস্ব একটি কবরস্থান পাই, সে জন্য নিউইয়র্কের মুসলিম সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসা উচিত। তাই অনেকেই বলে থাকেন, নিউইয়র্কে মুসলিমের মৃত্যুর সামর্থ্য নেই। কারণ, এখানে মুসলমান ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে দাফনের খরচ যোগানোই কঠিন। এমনি একটি ঘটনার অবতারণা হয়েছে এখানে। আহমেদ কারগির নামক এক ব্যক্তির জামার হাতাটা ভাঁজ করতেই ডান হাতের ট্যাটুটা বেরিয়ে পড়ল। এটা যে তুরস্কের পতাকা, তা নিজেই জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, এটা আমার শিকড়ের সঙ্গে নিজেকে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবতে সাহায্য করে। ৪০ বছর বয়সী কারগি তুর্কি বংশোদ্ভূত। কিন্তু তিনি আজ মোটরসাইকেলে চেপে ব্রুকলিনের শান্ত রাস্তায় আওয়াজ তুলে যার উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন, তিনি একজন ইরানি। নাম আলী (৪৮)। ইরানি এই মুসলমান চাকরি হারিয়ে বিষণœ ছিলেন। এরপর এক রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন। কিন্তু এখানে দাফন করানোর সামর্থ্য নেই তার রুশ স্ত্রী সেভতলানার। তাই লাশ চলে যাবে ইরানে। তার আগে ইসলামি রীতি মেনে স্বামীর লাশের গোসলসহ শেষকৃত্য করাতে চান তিনি। সে লক্ষ্যেই আলীর লাশ নিউইয়র্কের ডেকালব অ্যাভিনিউয়ের পিরো ফিউনেরাল হোমে আনা। এখানে মুসলিমদের দাফন, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের শেষকৃত্যের জন্য পৃথক তিনটি বিভাগ রয়েছে। আহমেদ কারগি মুসলিম বিভাগের প্রেসিডেন্ট। কারগির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে শেষকৃত্য নিয়ে রীতিমতো বাণিজ্য হয়; থাকে নানা আয়োজন। এখানে প্রথাগত একটি দাফনানুষ্ঠানে ৬ থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। কিন্তু ইসলামে এত খরচকে অপচয় হিসেবে দেখা হয়। আর এখানে সবকিছুই করা হয় মৃত ব্যক্তির জন্য। তাকে চিরনিদ্রার স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে শুইয়ে দেয়াটাই বড় কথা। কিন্তু নিউইয়র্কের মুসলমানদের জন্য মাটির নিচে চিরনিদ্রার জায়গা পাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিউইয়র্কের মুসলমানদের চিরনিদ্রার জায়গা পাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ