মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সহযোগিতা এবং এ সংক্রান্ত সবকিছুতেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সেই পরিবর্তনের একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আর পাকিস্তান যদি তার নতুন পরিকল্পনা অনুসারে সামরিক নীতিতে পরিবর্তন আনে তবে বড় ধরনের বেকায়দায় পড়তে পারে সউদী আরব এবং ইসরাইল। মিডল ইস্ট মিনিটরের প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর ওপর বিশ্বের দুটি শীর্ষ সামরিক সক্ষমতা সম্পন্ন দেশের প্রভাব সবেচেয়ে বেশি। প্রথমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পরই পাকিস্তান। তবে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। যুক্তরাষ্ট্র নিজের পেশি শক্তির জোরে জবরদস্তি করে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী অবস্থা বজায় রেখে চলছে। অন্যদিকে সউদী আরব উপসাগরীয় সুন্নি দেশগুলোসহ প্রায় সব দেশে বন্ধুভাবাপন্ন হিসেবে ওইসব দেশের আমন্ত্রণে অর্ধ শতাব্দী ধরে অবস্থান করছে। বিশেষ করে বলতে হয় সউদী আরবের কথা। সামরিক ও নিরাপত্তাগত দিক দেখে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সউদীতে এই মুহূর্তে ৪০ হাজারের বেশি পাক সেনাসদস্য অবস্থান করছে নিরাপত্তা দিতে। এই সম্পর্ক মূলত ঐতিহাসিক। হঠাৎ করে তৈরি হয়নি এটি। সউদী আরবে ৫০ বছরে বহু শাসক পরিবর্তন হয়েছেন, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে সামরিক সম্পর্ক পরিবর্তন হয়নি, মাঝে মাঝে একটু এদিক সেদিক হয়েছে মাত্র। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনা কর্তৃপক্ষ আর এককভাবে সউদীর দিকে ঝুঁকে থাকতে চায় না। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ইরানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করে একই সাথে রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানো এবং ইসলামাবাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ যথাসম্ভব উদ্ধারের মনোযোগী হন। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এবং ইসলামাবাদ-রিয়াদ-তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের ভারসাম্য আনতে চান জেনারেল বাজওয়া। তার অংশ হিসেবে ইরানি কর্তৃপক্ষের সাথে গত ছয় মাসে নজিরবিহীন একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন তিনি। শিগগিরই তেহরান সফর করবেন ক্যারিশম্যাটিক এই সেনানায়ক। তবে তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে অতি সাবধানতার সঙ্গে, যেন রিয়াদ কোনোভাবে তাকে সন্দেহ করার মতো জায়গায় না যায়। এমনটি হলে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। এদিকে শিয়া-সুন্নী দুই প্রতিদ্ব›দ্বীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আরেক সুন্নি দেশের শক্তভাবে জড়িয়ে পড়াকে ভাল চোখে নেবেন না ইসরাইল ও তার মিত্ররা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন জেনারেল বাজওয়া। তবে সফল হলে মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রভাব স্মরণকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। আর এই সম্ভাবনার কারণে পাকিস্তানের চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতও যোগ দেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ইসরাইলের ক্যাম্পে, যার মহড়া ইতোমধ্য শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী। মিডল ইস্ট মিনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।