পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে কোন ধরণের আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সুবিধাভোগী ও তথাকথিত শিক্ষক সংগঠনের কোন কোন নেতাদের প্ররোচনা ও যোগসাজসে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য এই গেজেট অমানবিক, অগণতান্ত্রিক এবং ন্যায়বিচার বিরোধী। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়াই কয়েকজন সুবিধাভোগী শিক্ষক নেতার প্ররোচনায় সরকার অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে শিক্ষকদের ১০ শতাংশ বেতন কাটার গেজেট প্রকাশ করেছে। পূর্বের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বেতন কাটাকে অযৌক্তিক ও অমানবিক উল্লেখ করে বলা হয়, গেজেটে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বেতন কাটার কথা উল্লেখ করা হলেও এর মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীগণ ভবিষ্যতে অতিরিক্ত কি সুবিধা পাবে সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তারা বলেন, এই গেজেট বাস্তবায়িত হলে ২৫ বছর চাকরিরত শিক্ষকের কাছ থেকে নেয়া হবে ৯ লাখ টাকা আর চাকরি শেষে তাকে দেয়া হবে ৭ লাখ টাকা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মতো হঠাৎ গজিয়ে ওঠা শিক্ষক সংগঠন ও কতিপয় নেতাদের প্ররোচনায় এই ধরণের হঠকারী সিদ্ধান্ত্র গ্রহণ করা হয়েছে। যা শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বার্থ বিরোধী। এধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে শিক্ষক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। এমনকি অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যদেরও কোন কথা শোনা হয়নি। এই দুই ট্রাস্টের সভায় শুধু বলা হয় শিক্ষকদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন যেখানে এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছিনা। সেখানে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ গেজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম বলেন, ১০ শতাংশ বেতন কেটে নেয়ার গেজেটটি প্রকাশ করার পরপরই শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও ১০ শতাংশ কাটার কোন নজির নাই। তাহলে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের উপর কেন এই খড়গ? এমনকি বিশ্বের কোন দেশেও এধরণের নজির নাই বলে তিনি জানান। আবুল কাশেম বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা কত বেতন পায়? আর সেখান থেকে ১০ শতাংশ কেটে নিলে কি থাকে সেটা ভেবে দেখতে হবে।
শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নতুন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ১২ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সকল জেলা ও উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে এই গেজেট প্রত্যাহার করা না হলে অবিরাম ধর্মঘট ও আমরণ অনশনের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া, আলী আসগর হাওলাদার প্রমুখ। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।